ডার্ক মোড
Saturday, 21 December 2024
ePaper   
Logo
ফরিদপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

ফরিদপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের নগরকান্দায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ভাঙচুর করা হয়েছে একটি বাড়ি।

রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার ফুলসুতি ইউনিয়নের সলিথা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সলিথা গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মো. রবিউল ইসলামের সঙ্গে প্রতিপক্ষের এনায়েত হোসেন মোল্লার সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল।

মো. রবিউল ইসলাম ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য। তিনি ফুলসূতী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফ হোসেনের ঘনিষ্ঠজন ছিলেন। আরিফ হোসেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক। বর্তমানে তিনি পলাতক রয়েছেন। গত ১৫ বছর ধরে রবিউল ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে থেকে আওয়ামীপন্থি রাজনীতি করে আসছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তিনি (রবিউল) বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হন। অপরদিকে এনায়েত হোসেন মোল্লা শুরু থেকে বিএনপির রাজনীতি করে আসছেন। বিএনপিতে তার কোনো পদ-পদবি না থাকলেও তিনি ইউনিয়ন যুবদলের নেতৃত্ব দিতে আগ্রহী।

ওই বিরোধের জেরে রোববার দুপুরে রবিউল তার সমর্থকদের নিয়ে এনায়েত হোসেন মোল্লার বসতবাড়িতে হামলা চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। সংঘর্ষ চলাকালে এনায়েতের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। পরে নগরকান্দা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ ব্যক্তি আহত হন। আহতদের ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এনায়েত হোসেন মোল্লা বলেন, আজ (রোববার) দুপুরের দিকে রবিউল ইসলাম (মেম্বার) ও তার লোকজন আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। আমরা বাধা দিলে আমাদেরও মারধর করা হয়।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে সাবেক ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম বলেন, আমার কোনো লোক এনায়েতের বাড়িতে হামলা চালায়নি। বরং এনায়েতের সমর্থকরা আমার সমর্থকদের ওপর হামলা চালালে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে বেশ কয়েকজন সমর্থক আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ ঘটনায় এনায়েতের স্ত্রী ওহিদা আক্তার বাদী হয়ে তাদের বাড়িতে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাটের বিষয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন