ডার্ক মোড
Sunday, 05 January 2025
ePaper   
Logo
পৌষের শীতে জবুথবু চিলমারীর জনগণ

পৌষের শীতে জবুথবু চিলমারীর জনগণ

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রামের চিলমারীতে দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে শীতের তীব্রতা। এতে নদী তীরবর্তী এলাকাসহ গোটা উপজেলাজুড়ে সাধারণ ও নিম্নআয়ের মানুষজন পড়েছেন চরম বিপাকে। বৃহস্পতিবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে শীতজনিত নানা রোগে। শীতের প্রভাব পড়েছে কৃষিক্ষেত্রেও। কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তীব্র ঠান্ডায় গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে নিম্ন আয়ের মানুষ। শীত ও কনকনে ঠান্ডায় হাসপাতালে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, সর্দি-কাশিসহ ঠান্ডাজনিত রোগ। ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে গৃহপালিত পশু-পাখি।

গত দু’দিন হতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কন কনে ঠান্ডা ও মৃদু হিমেল হাওয়া অনুভব হয়। এরপর বেলা বাড়ার সাথে সাথে সূর্যের আলো থাকলেও তাপমাত্রা নেই বললেও চলে। তীব্র শীতে দিনমজুর সহ নিম্ন আয়ের মানুষ চরম বিপাকে পরেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম (৬৫) জানান, কয়েক দিন থেকে কনকনে ঠান্ডা আর সাথে বাতায় আমরা কাবু হয়া গেইলাম। না যাবার পাই কাজে। পেট তো আর ঠান্ডা বোঝে না তাই কষ্ট হলেও কাজে বের হতে হয়।

পাত্রখাতা এলাকার নয়ন মিয়া জানান, পেটের দায়ে বাড়িতে থাকতে পারছি না। পুরাতন কাপর ও সরকারি কম্বল দিয়ে কোন রকমে শীত নিবারনের চেষ্টা করছি। মাঝে মধ্যে খরখুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে বসে থাকি।

কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, গত কয়েক দিন ধরে এই অঞ্চলের তাপমাত্রা ১১-১২ ডিগ্রিতে ঘরে ওঠানামা করছে। যা আগামী কয়েকদিনে আরও কমার সম্ভাবনা আছে।

আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মোঃ আবু রায়হান জানান, গত দুইদিন থেকে শীতের প্রকোপ বেশি দেখা যাচ্ছে তাই হাসপাতালে ডাইরিয়া, নিউমোনিয়া,শ্বাসকষ্ট রোগী বেড়েছে।তবে এই শীতে শিশু এবং বয়স্ক দের অযথা বাইরে না বাড়ার এবং সব সময় গরম কাপর পরিধান করার পরামর্শ দেন। কম বয়সী শিশুদের যত্ন নিতে হবে এবং হালকা কুসুম গরম পানি পান করাতে হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও সবুজ কুমার বসাক বলেন, আমরা তিন হাজার কম্বল বরাদ্দ পেয়েছিলাম উপজেলার জন্য যা গত কয়েকদিনে পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হচ্ছে। আমরা রাতে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দরিদ্র লোকদের খোঁজখবর নিয়ে তাদেরকে শীত বস্ত্র হিসাবে কম্বল দিয়ে আসছি। তাছাড়া জেলায় আরো কম্বলের চাহিদা দেয়া আছে সেগুলা আসলে বিতরণ করা হবে।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন