ডার্ক মোড
Tuesday, 02 July 2024
ePaper   
Logo
পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় কোম্পানীগঞ্জে গৃহবধূকে হত্যা

পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় কোম্পানীগঞ্জে গৃহবধূকে হত্যা

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

নোয়াখালী থেকেঃ পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় গৃহবধূকে হত্যার বিচার দাবিতে ডিসি অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালিত হয়। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় স্বামীর পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় গৃহবধূ ফারজানা আক্তারকে হত্যার অভিযোগ এনে বিচার ও হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে নিহতের বাবা, ভাই, স্বজন ও এলাকাবাসী।

নোয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন, ঘেরাওসহ এসপি ও ডিসিকে স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে কর্মসূচি পালন করা হয়। নিহত ফারজানা আক্তার (২২) জেলার সুবর্ণচর উপজেলার চরবৈশাখী গ্রামের বসির উল্যার মেয়ে। মানববন্ধনে নিহত গৃহবধূর বড় ভাই মো. খবির উদ্দিন ও স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, ৫-৬ বছর আগে পার্শ্ববর্তী উপজেলার চরকলমি গ্রামের সিরাজুল ইসলামের বড় ছেলে জহিরুল ইসলামের সঙ্গে পারিবারিকভাবে ফারজানার বিয়ে হয়।

জহির স্থানীয় বাজারে স্টিলের আলমারির ব্যবসা করেন। ব্যবসার সুবাদে তার দোকানে আসা একাধিক নারী গ্রাহকের সঙ্গে তিনি পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। গৃহবধূ ফারজানা স্বামীর মোবাইলে একটি মেয়ের সঙ্গে তাদের যৌথ ছবি দেখতে পান। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে স্বামী ফারজানাকে মারধর করে। স্বামীর পরকীয়ার বিষয়টি সবাইকে জানানোর কারণে স্বামীসহ পরিবারের অপরাপর সদস্যরা ফারজানাকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজায়।

এমনকি মৃত্যুর খবরও আমাদের দেয়া হয়নি। এ সময় হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত সকলের দ্রুত গ্রেপ্তারসহ প্রত্যেকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন স্বজনরা ও এলাকাবাসী। প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দিবাগত রাতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের চরকলমি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর থেকে পরকীয়ায় আসক্ত ঘাতক স্বামী জহির পলাতক রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী জানান, এ ঘটনায় ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা নেয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জহিরুল ইসলাম গ্রেপ্তার হয়নি।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন