নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের স্বনামধন্য শিপ সার্ভেয়ার আবুল বাসারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র
স্টাফ রিপোর্টার
মোঃ আবুল বাসার একজন পেশাদার, দক্ষ ও অভিজ্ঞ মেরিন চিফ ইঞ্জিনিয়ার। বর্তমানে তিনি নৌ পরিবহন অধিদপ্তরে ইঞ্জিনিয়ার এন্ড শিপ সার্ভেয়ার এন্ড এক্সামিনার হিসাবে কর্মরত রয়েছেন।
তিনি বাংলাদেশের একমাত্র মেরিন ইঞ্জিনিয়ার যিনি জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক নৌ-সংস্থা আইএমও এর দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সুইডেনের ওয়ার্ল্ড মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি থেকে একাধারে পিজিডি ইন এক্সিকিউটিভ মেরিটাইম ম্যানেজমেন্ট এবং মাস্টার্স ইন মেরিটাইম আ্যফেয়ার্স স্পেশালাইজিং ইন মেরিটাইম এনার্জি ম্যানেজমেন্ট ডিগ্রী অর্জন করেছেন এবং বর্তমানে ঐ একই বিশ্ববিদ্যালয়ে মেরিটাইম গভর্নেন্স এর উপর পিএইচডি অধ্যয়ন করছেন যা বাংলাদেশে প্রথম। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক ভাবে এমন চৌকষ প্রতিভাবান একজন দেশপ্রেমিক সৎ মেধাবী সরকারি কর্মকর্তাকেও হয়রানির স্বীকার হতে হচ্ছে একদল কুচক্রীর হাতে।
বর্তমানে সে নৌ পরিবহন অধিদপ্তরে প্রধান প্রকৌশলী পদে পদোন্নতির জন্য বিবেচিত প্রার্থীদের মধ্যে অন্যতম দাবিদার হওয়ায় একটি অসাধু চক্র তার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছেন এবং কিছু অখ্যাত পত্রিকা ও অনলাইনে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদীত প্রচারনা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এই কুচক্রীদের চক্রান্তেই বছরখানেক আগে এই মেধাবী কর্মকর্তা সিনিয়রিটি তালিকায় প্রথম হয়েও নৌপরিবহন অধিদপ্তরের কন্ট্রোলার অফ মেরিটাইম এডুকেশন (সিএমই) পদের পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হন। সেই পদে পদায়ন করা হয় গ্রেডেশন তালিকায় থাকা চতুর্থ কর্মকর্তাকে।
এ ব্যাপারে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছু লোক পেশাগত কারণে ঈর্ষান্বিত হয়ে আবার আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারে নেমেছেন। পেশাগত কোন ত্রুটি বা দূর্নীতির তথ্য প্রমাণ না পেয়ে এখন আমার ব্যাক্তিগত জীবন নিয়েও মিথ্যাচার করছে।
বাংলাদেশের নাবিকদের পরীক্ষাসহ সকল ধরনের সরকারি সেবা প্রদানে আমার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। নৌ পরিবহন অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার পরীক্ষা ব্যবস্থাপনাকে দুর্নীতিমুক্ত স্বচ্ছ করতে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং প্রধান পরীক্ষকের তত্ত্বাবধানে আমি নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করেছি যা প্রধান পরীক্ষকসহ বাংলাদেশের পরীক্ষার্থী নাবিকগণ অবহিত আছেন এবং এ জন্য পরীক্ষার্থীদের নিকট আমি অত্যন্ত জনপ্রিয় যা খোজ নিলেই জানা যাবে। নৌপরিবহন অধিদপ্তরে পরীক্ষায় পাস করতে এখন আর টাকা খরচ করতে হয় না, পরীক্ষা সময় মত নিয়ম মাফিকই হচ্ছে। যেসব পরীক্ষার্থী পড়ছে না তারা টাকা বা কোন চাপ প্রয়োগ করেও পাস করার সুযোগ পাচ্ছে না। ইতিপূর্বে একটি সংঘবদ্ধ দালাল চক্র এইসব পরীক্ষা নিয়ে নানা রকম পরীক্ষা বানিজ্যে লিপ্ত ছিল। আমাদের কৌশলী এবং দূর্নীতির বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থানের কারণে ডিজি শিপিং এ দালালদের দৌরাত্ম পুরোপুরি কমেছে। আমরা ইতিমধ্যে কিছু দুষ্কৃতকারীদের গ্রেফতার করে আইনের হাতে সোপর্দও করেছি। এই দালাল চক্রটি তাই বেপরোয়া হয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ আমার এবং অধিদপ্তরের কিছু সৎ কর্মকর্তার ক্ষতি করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। অধিদপ্তরের ভিতর ঘাপটি মেরে থাকা দুই একজন অসাধু কর্মকর্তাও এদের সাথে জড়িত আছেন মর্মে আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে যাদের অপকর্ম যথাসময়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।
নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষা ব্যবস্থা এখন সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্ত যেখানে কোন রকম অনিয়মের সুযোগ নেই। এ চক্রটি এই স্বচ্ছ পরীক্ষা ব্যবস্থাকে বিতর্কিত করে ব্যক্তিগত ফায়দা হাসিল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। এতে করে বাংলাদেশ থেকে জারিকৃত নৌসনদ সমূহ আন্তর্জাতিক বিশ্বে মান হারাবে এবং বাংলাদেশের নাবিকগণ বিশ্বের অনেক বড় বড় শিপিং কোম্পানীর চাকুরী থেকে বঞ্চিত হবে এবং দেশ কোটি কোটি ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের সুযোগ হারাবে। এমন অপকর্মকারিদের বিচারের আওতায় আনা জরুরী। এছাড়া ষড়যন্ত্রকারীরা আমার পূর্বের প্রফেশনাল অভিজ্ঞতা কে বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছেন। আমি বিশ্বের অনেক স্বনামধন্য শিপিং কোম্পানীতে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দীর্ঘতিন যাবত চাকুরী করেছি। যারা আমার দক্ষতার প্রশংসা করেছেন এবং অনেকই বিভিন্ন জটিল সমস্যায় এখানো আমার কারিগরি পরামর্শ গ্রহণ করেন।
জনাব বাসার জানান, শুধু আমাকে নিয়ে কুৎসা রটিয়েও তারা ক্ষান্ত হননি, আমার মরহুম পিতাকেও মুদি দোকানদার বানিয়ে মিথ্যাচার করছেন যা অত্যন্ত অমানবিক ও দুঃখজনক। আমার পিতা অত্যন্ত সম্মানি ও পরোপকারি মানুষ ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ সরকারের ভূমি অধিদপ্তরের একজন সৎ সরকারি কর্মচারী হিসাবে চাকুরী জীবন সমাপ্তি করে অবসরে যান এবং সাত বছর পূর্বে মৃত্যুবরণ করেন। সরকারি চাকুরীতে যোগদানের পূর্বে তিনি স্বাধীনতাপূর্ব এবং স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের থানা ও কলেজ পর্যায়ের বিভিন্ন সাংগঠনিক পদ সহ রাজনীতির সাথে সরাসরি যুক্ত ছিলেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট তৈরীতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান এ অংশগ্রহণসহ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে মুজিব বাহিনীর কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার সহযোগী সদস্য হিসাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। আমার পিতার ব্যাপারে মিথ্যা তথ্য প্রচার করায় তার চরম অসম্মান করা হয়েছে এবং আমার সামাজিক মর্যাদা নষ্ট করা হয়েছে। যে সব নামধারী সাংবাদিকগণ এই হীন কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন এ পেশাধাার মেরিন ইঞ্জিনিয়ার। উল্লেখ্য, তার বিরুদ্ধে যেসব তথাকথিত সাংবাদিক এসব অপপ্রচার চালাচ্ছেন তাদেরকে তথ্য-প্রমাণ দিতে বললেও কেউ দিতে পারছেন না এবং তারা নিজের পরিচয়ও গোপন রাখছেন। তিনি জানান, যারা তার ও তার পরিবারের সুনাম ক্ষুন্ন করেছেন তাদের বিরুদ্ধে তিনি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।