ডার্ক মোড
Wednesday, 01 May 2024
ePaper   
Logo
নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের দক্ষ, অভিজ্ঞ ও পেশাধার মেরিন ইঞ্জিনিয়ার আবুল বাসারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের দক্ষ, অভিজ্ঞ ও পেশাধার মেরিন ইঞ্জিনিয়ার আবুল বাসারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

নিজস্ব প্রতিনিধি

মোঃ আবুল বাসার একজন পেশাদার, দক্ষ ও অভিজ্ঞ মেরিন ইঞ্জিনিয়ার। বর্তমানে তিনি নৌ পরিবহন অধিদপ্তরে ইঞ্জিনিয়ার এন্ড শিপ সার্ভেয়ার হিসাবে কর্মরত রয়েছেন।

আবুল বাসার বাংলাদেশের একমাত্র মেরিন ইঞ্জিনিয়ার যিনি জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক নৌ-সংস্থা আইএমও এর দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সুইডেনের ওয়ার্ল্ড মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি থেকে একাধারে পিজিডি এবং মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেছেন এবং বর্তমানে ঐ একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেরিটাইম গভরনেন্সের উপর পিএইচডি অধ্যয়ন করছেন যা বাংলাদেশে প্রথম।

বর্তমানে সে নৌ পরিবহন অধিদপ্তরে প্রধান প্রকৌশলী পদে পদোন্নতির জন্য বিবেচিত প্রার্থীদের মধ্যে সিনিয়রিটির তালিকায় প্রথম থাকায় নৌ পরিবহন দপ্তরের একটি অসাধু চক্র তার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছেন এবং কিছু অখ্যাত পত্রিকা ও অনলাইনে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদীত প্রচারনা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ ব্যাপারে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছু লোক পেশাগত কারণে ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারে নেমেছেন। বাসার বলেন, আমার পেশার বাহিরে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য আমার পরিবারের বিরুদ্ধেও অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছেন এ চক্রটি।

বাংলাদেশের নাবিকদের পরীক্ষাসহ সকল ধরনের সরকারি সেবা প্রদানে আমার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। নৌ পরিবহন অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার পরীক্ষা ব্যবস্থাপনাকে দুর্নীতিমুক্ত স্বচ্ছ করতে আমি নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করেছি যা প্রধান পরীক্ষকসহ বাংলাদেশের পরীক্ষার্থী নাবিকগণ অবহিত আছেন এবং এ জন্য পরীক্ষার্থীদের নিকট আমি অত্যন্ত জনপ্রিয় যা খোজ নিলেই জানা যাবে।

নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষা ব্যবস্থা এখন সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্ত যেখানে কোন রকম অনিয়মের সুযোগ নেই। এ চক্রটি এই স্বচ্ছ পরীক্ষা ব্যবস্থাকে বিতর্কিত করে ব্যক্তিগত ফায়দা হাসিল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। এতে করে বাংলাদেশের নৌসনদ আন্তর্জাতিক বিশ্নে মান হারাবে এবং বাংলাদেশের নাবিকগণ বিশ্বের অনেক বড় বড় শিপিং কোম্পানীর চাকুরী থেকে বঞ্চি হবে এবং দেশ কোটি কোটি ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের সুযোগ হারাবে।

এমন অপকর্ম চক্রদের বিচারের আওতায় আনা জরুরী। এছাড়া ষড়যন্ত্রকারীরা আমার পূর্বের প্রফেশনাল অভিজ্ঞতা কে বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছেন। আমি বিশ্নের অনেক স্বনামধন্য শিপিং কোম্পানীতে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দীর্ঘতিন যাবত চাকুরী করেছি। যারা আমার দক্ষতার প্রশংসা করেছেন এবং অনেকই বিভিন্ন জটিল সমস্যায় এখানো আমার কারিগরি পরামর্শ গ্রহণ করেন।

বাসার জানান আমার মরহুম পিতা মুদি দোকানদার ছিলেন মর্মে সংবাদ প্রকাশ করা হয় যা অত্যন্ত অমানবিক ও দুঃখজনক। আমার পিতা অত্যন্ত সম্মানি ও পরোপকারি মানুষ ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ সরকারের ভূমি অধিদপ্তরের একজন সৎ সরকারি কর্মচারী হিসাবে চাকুরী জীবন সমাপ্তি করে অবসরে যান। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি কোন ব্যবসায় জড়িত ছিলেন না।

সরকারি চাকুরীতে যোগদানের পূর্বে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সরাসরি যুক্ত ছিলেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট তৈরীতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান এ অংশগ্রহণসহ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে মুজিব বাহিনীর কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার সহযোগী সদস্য হিসাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

১৯৭১ সালে তিনি কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল কলেজ ছাত্র সংসদের ছাত্রলীগ থেকে নির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন এবং ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত করিমগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। আমার পিতার ব্যাপারে মিথ্যা তথ্য প্রচার করায় তার চরম অসম্মান করা হয়েছে এবং আমার সামাজিক মর্যাদা নষ্ট করা হয়েছে। যে সব নামধারী সাংবাদিকগণ এই হীন কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন এ পেশাধাার মেরিন ইঞ্জিনিয়ার।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন