ডার্ক মোড
Friday, 03 May 2024
ePaper   
Logo
নতুন প্রজন্মের সুরক্ষায় তামাক আইন শক্তিশালী করা জরুরি

নতুন প্রজন্মের সুরক্ষায় তামাক আইন শক্তিশালী করা জরুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের মাধ্যমে শক্তিশালীকরণের খসড়া প্রস্তুত করেছে। জনস্বাস্থ্য ও অর্থনীতিকে তামাকের কুপ্রভাব থেকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য গৃহীত এই পদক্ষেপ ইতোমধ্যেই ব্যাপক জনসমর্থন লাভ করেছে। তাই যতো দ্রুত সম্ভব এই সংশোধনীটি চূড়ান্ত করার জন্য আইন প্রণেতাদের উদ্যোগ নিতে হবে।

সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে উন্নয়ন সমন্বয়ের আহ্বানে ‘ধূমপান ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণ’ শিরোনামে সংবাদ সম্মেলনে তারা এ আহ্বান জানান। এ অবস্থায় নতুন প্রজন্মের সুরক্ষায় দ্রততম সময়ের মধ্যে তা বাস্তবায়ন ও প্রয়োগ করা জরুরি বলে জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।.

আলোচকবৃন্দরা বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি সংশোধন ও শক্তিশালীকরণের এই উদ্যোগের মাধ্যমে বৃহত্তর জনস্বার্থের প্রতি নীতি-নির্ধারকদের সংবেদনশীলতা প্রতিফলিত হয়েছে। তবে যেহেতু তামাকের কারণে দেশে প্রতিদিন প্রায় ৪৫০ জন মানুষ মারা যায় তাই যতো দ্রুত সম্ভব খসড়া সংশোধনীটি চূড়ান্ত করতে সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগী হতে হবে। বিশেষ করে পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান রাখার সুযোগ বাতিল এবং সিঙ্গেল স্টিক সিগারেট বিক্রি নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে যথাক্রমে পরোক্ষ ধূমপান থেকে নাগরিকদের কার্যকর সুরক্ষা দিতে হবে। একইসঙ্গে এর মাধ্যমে কমবয়সীদের সিগারেট ব্যবহারে উৎসাহিত হওয়া থেকে বিরত রাখা যাবে বলে তারা মনে করেন।

তথ্য বিভ্রাটের বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করে জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো সরকারকে রাজস্ব আয় কমে যাওয়ার বিষয়ে ভুল তথ্য দিয়ে থাকে, ফলে সরকার তামাকবিরোধী আইন শক্তিশালী করতে ভয় পায়।

তামাক কোম্পানির সিএসআর বিষয়ে উল্লেখ করে এটিএন নিউজের চিফ এক্সিকিউটিভ এডিটর মুন্নী সাহা বলেন, এই কোম্পানিগুলো মিডিয়া হাউজে তামাকবিরোধী রিপোর্টিং না করার জন্য বিভিন্ন ধরনের সিএসআর করে থাকে, যার ফলে এই ধরণের সচেতনতামূলক প্রচারণার উদ্যোগ দেখা যায় না।

ইউএনডিপির কান্ট্রি ইকোনমিস্ট ড. নাজনীন আহমেদ মনে করেন, তামাকের ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে শিশুদের মাথায় ঢুকিয়ে দিতে হবে। আবার, পাঠ্যপুস্তকে আরও বেশিমাত্রায় তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করা উচিত।

অনুষ্ঠানে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারটি বাস্তবায়নের জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরির বিষয়ে জোড় দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা।

সভাপতির বক্তব্যে ড. আতিউর রহমান বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনীটি চূড়ান্ত হলে কর্মসংস্থান ও বৃহত্তর অর্থনীতির ক্ষতি হতে পারে বলে ভুল প্রচারণা চালাচ্ছে স্বার্থান্বেষী মহল। এই সংশোধনীটি চূড়ান্ত হলে বাংলাদেশের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হবে এবং এতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়িদের ব্যবসা ও শ্রমিকদের কর্মসংস্থানে উল্লেখযোগ্য কোনো ক্ষতি হবে না। বরং তামাক ব্যবহার কমে আসার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে পুরো অর্থনীতিতে।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন