ডার্ক মোড
Wednesday, 22 May 2024
ePaper   
Logo
নকলায় ভর্তূকি মূল্যের কম্বাইন হার্ভেস্টার বিতরণ

নকলায় ভর্তূকি মূল্যের কম্বাইন হার্ভেস্টার বিতরণ

নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি

শেরপুরের নকলায় ভর্তূকি মূল্যের ৫টি কম্বাইন হার্ভেস্টার বিতরণ করা হয়েছে। অধিক ফলন ও উৎপাদন খরচ কমানোর লক্ষ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ৫ জন কৃষকের মাঝে একটি করে কম্বাইন হার্ভেস্টার বিতরণ করা হয়।

উপজেলা কৃষি অফিসের বাস্তবায়নে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরের দিকে উপজেলা কৃষি অফিসের সামনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহরিয়ার মোরসালিন মেহেদী-এর সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত পরিসরে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া উম্মুল বানিন এবং অন্যান্যদের মধ্যে উপজেলা প্রকৌশলী আরেফিন পারভেজ, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন শামীম, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কৃষিবিদ অনিক রহমান, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান, ২নং নকলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক ফারুক, উপজেলা পরিষদ মসজিদের খতিব ও ইমাম মুফতি আব্দুল জলিল কাসেমীসহ বিভিন্ন দপ্তর প্রধানগন, নকলা প্রেস ক্লাবের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দেলু, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল আমিন, সদস্য রেজাউল হাসান সাফিতসহ স্থানীয় সাংবাদিকগন ও হার্ভেস্টার বিপণন কোম্পানীর প্রতিনিধিগন, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সুবিধাভোগী কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহরিয়ার মোরসালিন মেহেদী জানান, কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার ব্যবহারের ফলে ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ খরচ কমেছে। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশ দ্রুত উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। শ্রমিক সংকটের কারনে ধান কাটার উপযোগী হওয়ার পরেও কৃষকরা যথাসময়ে ধান ঘরে তুলতে পারেন না। ফলে অনেক সময় কৃষকদের ক্ষতির সম্মূখিন হতে হয়। তবে আধুনিক কৃষিযন্ত্র ব্যবহার করলে কৃষকেরা এ বিড়ম্বনা থেকে রক্ষা পেতে পারেন। এমন একটি আধুনিক কৃষি যন্ত্র হলো কম্বাইন হার্ভেস্টার।

আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে ধান ও গম কাটা ও মাড়াইয়ের অত্যাধুনিক যন্ত্র কম্বাইন হার্ভেস্টার কৃষকদের দোড়গোড়ায় চলে এসেছে। এ যন্ত্রের সাহায্যে একসঙ্গে ধান কাটা, মাড়াই, ঝাড়াই ও বস্তাবন্দি করা সম্ভব হচ্ছে। প্রতিটি কম্বাইন্ড হার্ভেস্টারে সরকার ১৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ভর্তূকি দিচ্ছে। তিনি আরো জানান, এটি দিয়ে ঘন্টায় ১১ থেকে ১৩ লিটার পরিমাণ জালানিতে এক একর জমির ধান কাটা ও মাড়াই করা সম্ভব। হার্ভেস্টার ব্যবহার করলে প্রতি হেক্টরে কমপক্ষে ৬ হাজার টাকা কৃষকের বাঁচতে পারে বলে অতীত অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায়।

ইউএনও সাদিয়া উম্মুল বানিন বলেন- আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশ যেমন উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তেমনি কৃষি শ্রমিক সংকট থাকলেও কৃষককে বড় কোন সমস্যায় পড়তে হচ্ছেনা। সরকার কৃষির উন্নয়নে বিভিন্ন স্তরে যান্ত্রিকীকরণ করতে নিরলস কাজ করছে। কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষকরা লাভবানের পাশাপাশি দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। তাই প্রতিটি কৃষককে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের পরামর্শ প্রদান করেন তিনি।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন