ডার্ক মোড
Wednesday, 15 January 2025
ePaper   
Logo
দোহারে রাতের আধারে সিমানা ওয়াল ভাংচুরের অভিযোগ

দোহারে রাতের আধারে সিমানা ওয়াল ভাংচুরের অভিযোগ

দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি

ঢাকার দোহার উপজেলায় লটাখোলা বিলেরপাড় এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে রাতের আধারে সিমানা ওয়াল ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার রাতে লটাখোলা বিলের পাড় এলাকার বাসিন্দা ইকবাল হোসেন ও লামিয়া আক্তারের বাড়ির সিমানা ওয়াল ভাংচুর করা হয়। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা মঙ্গলবার সকালে দোহার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন প্রতিপক্ষ রাহাত গংয়ের নামে।

ইকবাল হোসেন ও লামিয়া আক্তার জানান, ১৯৯০ সালে উভয়ে উপজেলার লটাখোলা মৌজার আর.এস ৭৩২ ও ৭৩৩ দাগে ২২ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। পরবর্তীতে ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে বাড়িঘর নির্মান করতে গেলে প্রতিবেশী দাঙ্গাবাজ এলাকার রাহাত গংরা এই জমিতে তাদের আট শতাংশ জমি আছে বলে দখলে রাখেন দীর্ঘদিন।সম্প্রতি ইকবাল ও লামিয়া বিষয়টি স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের এবং প্রশাসনের কাছে সহযোগীতা চাইলে সকলের সহায়তায় জমি পরিমাপ করে বুঝিয়ে দেন।তারই ধারাবাহিকতায় গত রোববার ও সোমবার তাদের ক্রয়কৃত নিজেদের জমিতে ইটের সিমানা ওয়াল তোলেন। ঐদিন রাতেই রাহাত ও সুমনের নেতৃত্বে ৭/৮ জনের একটি সন্ত্রাসী দল তাদের ইটের সিমানা দেওয়াল ভেঙ্গে ফেলেন। মঙ্গলবার সকালে ইকবাল ও লামিয়া হোসেন দোহার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

ইকবাল ও লামিয়া আরও জানান,এমন ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবি করেন। অপরদিকে অভিযোগের পর পরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন দোহার থানা পুলিশের একটি টহল টিম। অভিযোগের তদন্তের দায়িত্বে থাকা এস-আই হুমায়ন কবিরের সাথে তারমোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, সিমানা ওয়াল ভাংচুরের বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত রাহাতের সাথে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিপক্ষের সিমানা দেওয়াল নির্মান বন্ধে আমরা থানায় অভিযোগ করেছি। থানা প্রশাসন প্রতিপক্ষকে সিমানা দেওয়াল নির্মান কাজ বন্ধ করতে নিষেধ করেছেন।ফলে নির্মান কাজ বন্ধ রয়েছে। পরবর্তীতে রাতের আধারে কে বা কারা সিমানা ওয়াল ভেঙ্গে ফেলেছে তা আমরা জানি না।তবে তিনি সন্দেহ করছেন ইকবাল হোসেন’রা নিজেরাই রাতে সিমানা দেওয়াল ভেঙ্গে এখন আমাদের উপর দোষ চাপিয়ে বিপদে ফেলতে চাচ্ছেন।

অপর অভিযুক্ত ব্যক্তি সুমন হোসেনের বক্তব্য জানতে তার মোবাইলে একাধিক ফোন দিলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায় নাই। বর্তমানে তার মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন

আপনি ও পছন্দ করতে পারেন