ডার্ক মোড
Thursday, 02 May 2024
ePaper   
Logo
ঠাকুরগাঁওয়ে শেষর দিনেও ব্যস্ত সময় পার করছে কামাররা

ঠাকুরগাঁওয়ে শেষর দিনেও ব্যস্ত সময় পার করছে কামাররা

 

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

আগামীকাল ১০ জুলাই পবিত্র ঈদুল আজহা অর্থাৎ কুরবানির ঈদ। ঈদকে সামনে রেখে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন গড়েয়া এলাকার কামাররা। এই ঈদে গরু, ছাগল, উটকে কুরবানি পশু হিসেবে জবাই করা হয়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কুরবানির পশু জবাই চলে। এসব পশুর গোশত কাটতে দা-বটি, ছুরি-ছোরা, চাপাতি ইত্যাদি ধাতব হাতিয়ার অপরিহার্য।

কুরবানির পশু কাটাকুটিতে চাই ধারালো দাঁ, বটি, চাপাতি ও ছুরি। তাই কয়লার চুলায় দগদগে আগুনে গরম লোহার পিটাপিটিতে টুং টাং শব্দে মুখর হয়ে উঠেছে ঠাকুরগাঁও সদর, গড়েয়া হাটের কামার দোকান গুলো, কামার শালাগুলো শেষ সময়েও ব্যাপক ভাবে ব্যাস্ত হয়ে রয়েছে।

আর সামনে আগুনের শিখায় তাপ দেয়া হাতুড়ি পেটানোর টুং টাং শব্দে তৈরি হচ্ছে দা-বটি, চাপাতি ও ছুরি। পশু কুরবানিতে এসব অতীব প্রয়োজনীয়। তাই যেন দম ফেলারও সময় নেই কামারদের। নাওয়া-খাওয়া ভুলে কাজ করছেন কামাররা। কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন তারা। সারা বছর তেমন কাজ না থাকলেও কুরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে কয়েকগুণ শেষ সময় পর্যন্ত ব্যস্ততা রয়ে যায় কামারা।

সজিব বর্মন জানায়, গড়েয়া হাটে আমারা আমি সহ ৫জন কামার রয়েছি। পশুর চামড়া ছাড়ানো ছুরি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, দা ২০০ থেকে ৩৫০ টাকা, বটি ২৫০ থেকে ৫০০, পশু জবাইয়ের ছুরি ৩০০ থেকে ১ হাজার টাকা, চাপাতি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে অনেক ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা।

পশু জবাইয়ের সরঞ্জামাদি কিনতেও লোকজন ভিড় করছেন তাদের দোকানে। নতুন করে অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এই অঞ্চলের চাহিদা মিটাতে হবে। ঈদকে সামনে রেখে কাজের চাপ বেশি। আগামীকাল ঈদ আজ শেষ দিন তাই আমাদের বিক্রি ও বেশি বেড়েছে।

কামার দোকানদারদের অভিযোগ কুরবানির ঈদ উপলক্ষে কয়লার দাম ও শ্রমিকদের দাম বেড়ে গেছে। অপরদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ ঈদ উপলক্ষে দাঁ, চাপাতি ও ছুরির দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে। ছুরি শান দেওয়ার জন্য ৫০ টাকা থেকে শুরু করে কাজের গুণাগুণের উপর ভিত্তি করে ১৫০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। কুরবানির ঈদ উপলক্ষে কামারদের বেচা কেনা দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। কয়লার দাম ও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।

সারা বছর কাজের চাপ থাকে না। যা লাভ এই ঈদ মৌসুমেই। তাই ঈদে সামান্য একটু বেশি নিয়ে থাকি। তবে এবারের ঈদে চাপ বেশি যেহেতু লকডাউনে দোকান বন্ধ ছিল, এ কারণে কাজের চাপ বেড়েছে। কামাররা বলছে ঈদ এলে লোহার দাম না বাড়লেও কয়লার দাম বৃদ্ধি পেয়ে যায়।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন