ট্রেইনি চিকিৎসকরা বকেয়া ভাতার দাবিতে ঘুরছেন দ্বারে দ্বারে
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিগত ৯ মাসের বকেয়া ও ৬ মাসের বর্ধিত বকেয়া ভাতার দাবিতে কর্মবিরতি পালনের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানসহ দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), আবার সেখান থেকে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসে (বিসিপিএস) গিয়েও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি তুলে ধরছেন তারা।
সোমবার (১৮ মার্চ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও অধীন প্রতিটি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও হাসপাতাল পরিচালক বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা। একইসঙ্গে তারা ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।
চিকিৎসকরা জানান, বিগত ৯ মাসের বকেয়া ও ৬ মাসের বর্ধিত বকেয়া ভাতা পাওয়ার ব্যাপারে ঢাকা মেডিকেল পরিচালক আমাদের যথাযথ সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। এসময় তিনি আমাদের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শোনেন ও আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেন।
এদিকে চিকিৎসকদের দেওয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়, আমরা ইন্টার্ন চিকিৎসকরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণের আন্দোলনে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নের সম্মুখ সৈনিক। বর্তমান স্মার্ট বাংলাদেশের উত্তরোত্তর উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আমাদের ইন্টার্ন চিকিৎসক সমাজ এখনো তাদের ন্যায্য অধিকারস্বরূপ বেতন ভাতা পাচ্ছে না, যেখানে অন্য যেকোনো কর্মক্ষেত্রে এমন বৈষম্য নেই। বিগত সময়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ইন্টার্নদের ভাতা বৃদ্ধির নির্দেশনা দেওয়া হলেও তা এখনো বাস্তবায়ন করা হয়নি। বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় সপ্তাহে ৭ দিন, মাসে ৩০ দিনের বিপরীতে ১৫ হাজার কোনোভাবেই একজন ইন্টার্নের পরিশ্রমের সুবিচার করতে পারে না।
এতে আরও বলা হয়, এ অবস্থায় আমরা মনে করি, আপনার সার্বিক সহায়তায় ও আমাদের অবিরত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ইন্টার্ন ভাতা কমপক্ষে ৩০ হাজার টাকায় উন্নীত করা এখন সময়ের দাবি। আপনি আমাদের ইন্টার্নদের অধিকারের জায়গা থেকে ভাতা বৃদ্ধির বিষয়টি অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করবেন।