ডার্ক মোড
Tuesday, 21 October 2025
ePaper   
Logo
জলঢাকায় ভাড়ায় থেকে কৌশলে দোকানঘর জবরদখলের অভিযোগ

জলঢাকায় ভাড়ায় থেকে কৌশলে দোকানঘর জবরদখলের অভিযোগ

 
 
নীলফামারী সংবাদদাতা 
 
নীলফামারী জলঢাকায় ভাড়ায় দোকানঘরে থেকে কৌশলে দোকানের পজিশন জবরদখল করার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে।
 
 পক্ষান্তরে ওই ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ী নালিশীবৃত্তে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে জেলা বিজ্ঞ অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট আদালত জলঢাকায় একটি এটিএম মামলা দায়ের করলে জমির প্রকৃত মালিক দোকানঘর নিজের আয়ত্তে নিলে পেশিশক্তি ও ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছে মর্মে অভিযোগ জমি মালিকের। গত ১৫ই অক্টোবর বুধবার বিকালে উপজেলার কাঠালী ইউনিয়নের বিন্যাবাড়ি বাজারে এ ঘটনা ঘটে। জমি ও দোকান পজিশনের মালিক নুর ইসলাম (৫২) অভিযোগ করে গণমাধ্যমকে জানান, গত ২৩শে জুলাই ১৯৯৭ সালে জামাল উদ্দীনের কন্যা মেরিনা বেগমের নিকট মৌজা উত্তর দেশিবাই এর খতিয়ান ১০৩৯ ও ২৩৮০ দাগে ৩০ শতক জমির মধ্যে ২শতক জমি ক্রয় করি এবং একই তারিকে জামাল উদ্দীনের ৪ ছেলের নিকট ওই দাগেই রশিদুল ইসলাম জমি ক্রয় করে ৩ শতক। দুই বছর পর ৭ই জুন ২০০০ সালে রশিদুল ইসলামের নিকট ওই ৩ শতক জমি ক্রয় করি আমি। পরে ২৯শে মার্চ ২০০০ সালে একই দাগ খতিয়ানে এমদাদুল হকের মেয়ে এবং স্ত্রী'র নিকট জমি ক্রয় করি ৩ শতক এবং জমির মুল মালিকের নিকট নেই ১শতক। মোট ৯শতক জমি ক্রয় সূত্রে মালিকানা হয়ে বাজারের ওই জায়গায় দোকানঘর নির্মান করি এবং লহুজার রহমান চৌধুরীর বড় ছেলে আমার ভায়ড়া ভাই জুয়েল চৌধুরীকে শর্ত সাপেক্ষে ভাড়া দেই গত ২৯শে এপ্রিল ২০০০ সালে। তখন থেকে অত্র পজিশনে ভাড়াটিয়া হিসাবে ব্যবসা করে আসছেন। পরে তাদের ভাইদের মাঝে ব্যবসা ভাগ হলে একটি দোকান দুটি করেন এবং আমাকে সময়মত ভাড়া পরিশোধ করে আসছেন। সম্প্রতি গত ১৫ই অক্টোবর ২৫ইং জেলা বিজ্ঞ অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের একটি মামলার কাগজ জলঢাকা থানা কর্তৃক নোটিশ হয়ে আমার নিকট আসে। এতে জানতে পারি আমার ভায়ড়া ভাইয়ের ছোট ভাই জামাল উদ্দীন চৌধুরী ওরফে জারমান আলী চৌধুরী আমার ওই দোকানঘর পজিশনের জায়গা নিজের বলে দাবী করে একটি ১৪৪/১৪৫ জারী করেছে। যার মামলা নং ৫৬১/২৫, বিজ্ঞ আদালতের স্বারক নং ১৭৯৯(২)। পত্রপ্রাপ্তি হয়ে ভাড়াটিয়া আমার ভায়ড়া ভাই জুয়েল চৌধুরীকে ডেকে তার দেকান খালি করতে বলি এবং বের করে দিয়ে আমার দোকানঘর এ পজিশন আমি ঘিরে নেই।ভুক্তভোগী নুর ইসলাম আরো জানান, আমার জানা মতে জারমান আলী চৌধুরী ইসলাম উদ্দীনের ছেলে আব্দুর রউফ এবং জামান উদ্দীনের ছেলে ছাইদুল, সাইফুল, হামিদুলের নিকট বিএস ১০৩৯ এবং ২৩৮০ দাগে ২শতক জমি ক্রয় করেছে। কিন্তু সে জমি আমার জমির পিছনে। কৌশলগত কারনে এবং অন্যের শলাপরামর্শে জারমান আলী চৌধুরী আমার জমি ও দোকানঘর জবরদখল করার চেষ্টা করছে। যা ভিত্তিহীন ছাড়া কিছুই না। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জামান চৌধুরী ওরফে জারমান আলী চৌধুরী'র সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বিগত ৩০ বছর যাবত আমি ওখানে ব্যবসা করে আসছি। দোকানঘর পজিশনের ওই জমি আমার। জমির সমস্ত ডকুমেন্ট আমার কাছে আছে। নুর ইসলাম গং জোরপূর্বক আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জবরদস্তি করে দখলে নিয়েছে।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন

আপনি ও পছন্দ করতে পারেন