ডার্ক মোড
Monday, 20 October 2025
ePaper   
Logo
দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন ম্যাটাডোর গ্রুপের কর্ণধার সফল ব্যবসায়ী আলহাজ্ব এডভোকেট মোঃ শাহ আলম

দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন ম্যাটাডোর গ্রুপের কর্ণধার সফল ব্যবসায়ী আলহাজ্ব এডভোকেট মোঃ শাহ আলম

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের প্রথম সারির ব্যবসায়ী, শিল্পা উদ্যোক্তা এবং ম্যাটাডোর গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ এডভোকেট মোঃ শাহ আলম দেশের সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছেন।

তিনি একজন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত হলেও মূলত তিনি একজন স্বনামধন্য আইনজীবী।

তার প্রতিষ্ঠিত ম্যাটাডোর গ্রুপে প্রায় চার হাজার কর্মী জীবিকা নির্বাহ করছেন এবং সময় মত বেতন-ভাতা পরিশোধের ক্ষেত্রে তিনি ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন।

১৯৮০ সালে ম্যাটাডোর পেন দিয়ে ব্যবসায়িক জগতে পা রেখে তিনি অক্লান্ত পরিশ্রমে ম্যাটাডোর গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজকে দেশের একটি সুপ্রতিষ্ঠিত শিল্প প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন।

এই গ্রুপের অধীনে স্টেশনারি, ব্যক্তিগত যত্ন পণ্য, প্লাস্টিক পণ্য, বিনোদন এবং স্বাস্থ্যসেবা খাতে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বলতে গেলে, ব্যবসায় তিনি অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছেন।

পুরান ঢাকায় তিনি শাহ আলম উকিল নামে একজন কৃতি সন্তান হিসেবে পরিচিত।

এলাকার গরিব-দুঃখীদের আইনি সেবা এবং আর্থিক সাহায্য করায় পুরান ঢাকায় তার ব্যাপক খ্যাতি রয়েছে। তবে তিনি দান করার ক্ষেত্রে প্রচারবিমুখ ছিলেন এবং গণমাধ্যম বা নিউজ মিডিয়া থেকে দূরে থাকতেন।

ইংরেজি দৈনিক দ্য কান্ট্রি টুডের সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন তিনি বলেন, "আমি আমার জ্ঞাতসারে এলাকাবাসী ও আমার স্বজনদের মঙ্গল ছাড়া অমঙ্গল কামনা করিনি। আমি সাধ্যানুযায়ী এলাকাবাসীর জন্য ভালো কিছু করে যাওয়ার চেষ্টা করছি। আমি যা করতে পারিনি, আমার সন্তানেরা তা করবে, এটাই আল্লাহর কাছে দোয়া করি।

আপনারা সবাই আমার ও আমার সন্তানদের জন্য দোয়া করবেন।" এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ হিসেবে হাজারীবাগ ও লালবাগ এলাকায় সর্বত্র শ্রদ্ধাভাজন ম্যাটাডোরের চেয়ারম্যান এডভোকেট শাহ আলম।

তিনি রফিকুল ইসলাম মোল্লা মাদ্রাসা ও মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণ করেছেন কয়েক কোটি টাকায়। হাজারীবাগ বোরহানপুর জামে মসজিদ সৌদি আদলে নির্মাণ করেছেন, যার নির্মাণশৈলী দেখে সবাই মুগ্ধ হন।

এছাড়া, কাজিরবাগ মসজিদ ও মাদ্রাসা, আজিম উদ্দিন হুজুরের এতিমখানা, ম্যাটাডোর স্টাফ কোয়ার্টার মসজিদ, চাঁদপুর হাজিগঞ্জ জয় সারা চৌধুরী বাড়ি মসজিদ-মাদ্রাসা ও এতিমখানায় তিনি তার সাধ্যমতো দান করেছেন।

ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে অসংখ্য মসজিদ ও মাদ্রাসা নির্মাণে তিনি নিজের উদ্যোগে আর্থিক সাহায্য করেছেন।

হবিগঞ্জ জেলায় নির্মিত একটি মসজিদ ছাড়াও সারা বাংলাদেশের শত শত মাদ্রাসা, এতিমখানা ও মসজিদে তিনি আর্থিক অনুদান দিয়েছেন। তার জীবনের অনেক কাজের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসেবে তিনি মনে করেন অসচ্ছল মানুষদের পবিত্র হজ পালনের সুযোগ করে দেওয়া। এছাড়া, তিনি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের আর্থিক সহায়তা এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করে থাকেন। পাশাপাশি, তিনি এলাকায় ম্যাটাডোর হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছেন।

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে তার অবস্থান নিয়ে তিনি বলেন, "আমি একজন আইনজীবী ও ব্যবসায়ী। আমি সরাসরি কোনো দলের সমর্থন করি না, আমার সন্তানেরাও তাই। কর্মজীবনের শুরু থেকে স্বাভাবিকভাবে জীবনসংগ্রাম চালিয়ে গেছি। তাই আমি আমার সন্তানদের মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। আমি মানুষের জন্য যা করেছি, তা সবই দৃশ্যমান, তাই আমি নিজেকে কীভাবে মূল্যায়ন করব? এলাকাবাসী ও গণমাধ্যমকর্মীরা আমার মূল্যায়ন করবেন।"

তার এক ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক এবং চেয়ারম্যান।

তার আরেক ছেলে মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এলাকার স্কুল ও মসজিদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

ছেলেরা তার মতো সমাজসেবায় নিয়োজিত রয়েছেন।

তারা কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা-মাতাকে অর্থনৈতিকভাবে সহায়তা করাসহ গরিব-দুঃখী ও মেহনতী মানুষের সব ক্ষেত্রে পাশে থাকেন সবসময়।

বাংলাদেশের প্রতিটি কোণে দানবীর শাহ আলমের মতো জনদরদী ও সমাজসেবক জন্ম নিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে নিবেদিত হয়ে কাজ করুক, এটাই মুসলিম উম্মাহর আশা।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন

আপনি ও পছন্দ করতে পারেন