ডার্ক মোড
Monday, 06 January 2025
ePaper   
Logo
চাঁদাবাজ-দখলদারমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই : জামায়াতের আমির

চাঁদাবাজ-দখলদারমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই : জামায়াতের আমির

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা চাঁদাবাজ-দখলদারমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই। বলবেন- তার প্রমাণ কি আপনারা যে পারবেন? তার প্রমাণ হচ্ছে আমাদের দলের কর্মীরা চাঁদাবাজিও করে না, দখলদাবাজিও করে না।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে এই কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াতে আমির বলেন, নারী-পুরুষের ব্যবধান এনে আমাদেরকে বলে- জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসলে এদেশের মানুষ বিপদে পড়বে। মহিলারা মায়ের জাতি, আমরা তাদেরকে মায়ের মতো সম্মান করি। যারা সন্তুষ্টির সঙ্গে বোরকা পরতে চাইবেন, তারা পরবেন। অন্যান্য ধর্মের মায়েদের আমি কীভাবে বোরকা পরাবো? ইসলাম কি আমাদের এই দায়িত্ব বা অধিকার দিয়েছে? কোনোটাই দেয়নি।

তিনি আরও বলেন, তারা যা পছন্দ করবেন, তাই পরবেন। পোশাকের ব্যাপারে জোর খাটানো যাবে না। নারীরা যোগ্যতা ও দক্ষতার সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আল্লাহর আইন সবার জন্য সমান। আমরা সেই আইনের জন্য লড়াই করছি। আমি মানুষকে মানুষের মর্যাদা দিব। যদি প্রত্যেকটা মানুষ মানুষকে সম্মান দেয়, ভালোবাসে। তাহলে এই দেশ জান্নাতের টুকরোয় পরিণত হবে।

শফিকুর রহমান বলেন, এই রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের সম্পদ, ইজ্জত ও জীবন সম্পূর্ণ নিরাপদ। এদেশের সকল ধর্মের মানুষ তাদের নিজ নিজ ধর্ম নির্বিঘ্নে ও নিরাপত্তার সঙ্গে পালন করতে পারবে। ধর্ম পালনে কোথাও বাধার সম্মুখীন হবে না।

জামায়াতের আমির বলেন, আমরা এমন শিক্ষা ব্যবস্থা উপহার দেব, যাতে এ দেশের যুবক-যুবতীদের সার্টিফিকেট নিয়ে দুয়ারে দুয়ারে না ঘুরতে হয়। কাগজের টুকরো নিয়ে দুয়ারে দুয়ারে দৌড়াদৌড়ি করা লাগবে না। পড়াশোনা শেষে চাকরি বা কাজ পেয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। যুবক-যুবতীদের প্রতিটি হাতকে দেশ গড়ার কারিগরের হাত হিসেবে তৈরি করতে চাই। এ দেশের মানুষ আর বিশ্বে চাকরির জন্য যাবে না। এর আগে বিশ্ব থেকে এদেশে চাকরি করতে আসতো। সেই গৌরব ফিরে পাব ইনশাআল্লাহ।

তিনি আরও বলেন, যারা ধর্মের বিভাজন তৈরি করে মেজোরিটি মাইনোরিটি দিয়ে তারাই ৫৩ বছর আপনাদেরকে কষ্ট দিয়েছে। আমাদের দলের কেউই এসব অপকর্মে জড়িত নাই। অথচ দোষ দেন আমাদের ঘাড়ে।

শফিকুর রহমান বলেন, যেই সমাজে চাঁদাবাজি-ঘুষখোর থাকবে না, যেই সমাজে দখল বাণিজ্য চলবে না, মানুষে-মানুষে ধর্মে-ধর্মে বৈষম্য থাকবে না। সেই সমাজ গড়ার জন্য লড়াই করতে হবে। আমর সেই লড়াই চালিয়ে যাব।

তিনি আরও, আমরা দুই দুইবার স্বাধীন হয়েছিলাম ৪৭ ও ৭১ এ। স্বাধীনতা লগ্নে যারা জাতিকে ওয়াদা করেছিলেন, যে সমস্ত অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার। তারা কেউ অধিকার ফিরিয়ে দেননি। তারা কথা রাখেননি। তারা জাতির সাথে বেইমানি করেছে। জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। বিশেষ করে স্বাধীনতার পর এখনো পর্যন্ত, ৫ আগস্ট পর্যন্ত যারা এদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাকে নিজের তালুক মনে করতেন, চেতনার কথা বলে তারাই এ জাতিকে লুণ্ঠন করেছেন। গণহত্যা চালিয়েছেন, আকাম-কুকাম ধর্ষণের সেঞ্চুরি করেছেন। দেশের সম্পদ লুণ্ঠন করে বিদেশে পাচার করেছেন। গত সাড়ে ১৫ বছরের আমলে যার হিসাব বের হয়ে এসেছে ২৬ লাখ কোটি টাকা। যা বাংলাদেশের বার্ষিক বাজেটের প্রায় পাঁচ গুণ। দেশে যেখানেই তাদের হাড়িতে হাত ঢুকছে সেখানেই টাকার খনি। এ টাকা এরা পেল কোথায়? তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর পিয়নের ছিল সাড়ে চার শ কোটি টাকা। পিয়নের এতো টাকা হলে মালিকের কত টাকা?

জামায়াতের আমির বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প থেকে মালিকের পরিবার ৫৭ হাজার কোটি টাকা চুরি করেছে। মেগা উন্নয়নের নামে মেগা ডাকাতি করা হয়েছে। একটা পদ্মা সেতু তৈরি করতে যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়েছে সেই খরচে কমপক্ষে চারটা পদ্মা সেতু তৈরি করা যেত। তাহলে বাকি তিনটি গেল কোথায়। দেশের টাকা দিয়ে যারা বিদেশে বেগমপাড়া গঠন করেছেন তারাই এই টাকা চুরি করেছেন। কিন্তু চোরের মার বড় গলা। প্রত্যেকটা প্রকল্পে নিজেদের দলের লোককে কন্ট্রাক্টর নিয়োগ করেছে। আমি আর মামু মিলে কারবার চালাইছে। এভাবে তারা দেশটাকে ফুকলা করেছে। ব্যাংকগুলোকে শেষ করে দিয়েছে। ডাকাত এস আলমকে লেলিয়ে দিয়ে ভাগবাটোয়ারা করে ইসলামী ব্যাংককে শেষ করে দিয়েছে। এই ব্যাংকের টাকা চুরি করেছে শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহেনা। বাংলাদেশ তাদের ইনকাম সোর্সের জায়গা। আর তাদের কলিজা বিশ্বের অন্যান্য জায়গায়। তারা ও তাদের ছেলেমেয়ে বেগমপাড়ায় থাকে। তারা দেশকে ভালোবাস

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন