ডার্ক মোড
Monday, 06 May 2024
ePaper   
Logo
গরমে ফুলবাড়ীতে বেড়েছে ডাব-স্যালাইনের চাহিদা

গরমে ফুলবাড়ীতে বেড়েছে ডাব-স্যালাইনের চাহিদা

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে চলছে প্রচন্ড তাপদাহ। গরমে অস্থির হয়ে উঠেছে জনজীবন। গরমে পিপাসা মেটাতে মানুষ পান করছেন স্যালাইন, শরবত, ডাবের পানি, আইসক্রিম ও আখের রস। এসব পানীয় পান করে পিপাসা নিবারণের চেষ্টা করছেন তারা। অনেকে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি পান করেও শরীর ঠান্ডার রাখার চেষ্টা করছেন।

সাধারণ মানুষেরা বলছেন, এ জাতীয় খাবার খেলে শরীর কিছু সময় ঠান্ডা থাকে। আর বিক্রেতারা বলছেন, তাপদাহের কারণে স্যালাইন, শরবত, ডাব, আইসক্রিম বিক্রি বড়েছে। তবে চিকিৎসকরা এই গরমে পানি ও পানীয় জাতীয় খাবার বেশি বেশি খাবারের পরামর্শ দিচ্ছেন।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ফুলবাড়ীতে ওরস্যালাইন কিনতে এসেছেন সোহেলরানা। তিনি বলেন, ‘প্রচন্ড গরম। সহ্য করা যাচ্ছে না। ফ্যানের বাতাসেও কাজ হচ্ছে না। তাই পরিবারের সবার জন্য স্যালাইন কিনতে এসেছি। এক প্যাকেট ওর স্যালাইন কিনলাম। যা পরিবারের সবাই খেতে পারবে।’

ফুলবাড়ীর বাংলাদেশ মেডিকেল হলের মালিক উত্তম কুমার দাশ বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে স্যালাইনের চাহিদা বেড়েছে। আগে শুধু মানুষ ডায়রিয়া বা অন্য কোনো সমস্যা দেখা দিলে স্যালাইন কিনতো। এখন গরমের কারণে স্যালাইন বেশি বিক্রি হচ্ছে। আমরা প্রতিপিস স্যালাইন ৬ টাকা করে বিক্রি করি। তবে কোনো ক্রেতা বেশি স্যালাইন নিলে ৫ টাকা দরে বিক্রি করি।’

শরবতের দোকানে কথা হয়, মো. শহিদুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আর গরম সহ্য করতে পারছি না। শরীর জ্বলে যাচ্ছে। তাই শরবত খেতে এসেছি। শরবত খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে।’

শরবত বিক্রেতারা মো. আজিবর ইসলাম বলেন, ‘আমি নিয়মিত শরবত বিক্রি করি। প্রতিদিন ভালোই বিক্রি হয়। তবে কয়েকদিন ধরে গরমের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় শরবতের চাহিদা বেড়েছে। আগে যেখানে ৬০/৭০ গøাস শরবত বিক্রি হতো, সেখানে এখন ১৫০ থেকে ২০০ গøাস শরবত বিক্রি হচ্ছে। দাম আগের মতো নিচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘অ্যালোবেরা, ইসবগুলোর ভুসি, তোকমা দানাসহ বিভিন্ন জিনিস দিয়ে শরবত তৈরি করি। যা খেলে শরীর ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি প্রসাবের জ্বালাপো[ড়া কমায়।’

ডাব কিনতে আসা মো. রাশেদ ইসলাম বলেন, ‘ডাবের চাহিদা সঙ্গে দামও বেড়েছে। ১০০ টাকা পিস দরের ডাব এখন ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।’

ডাব বিক্রেতারা মো. সাব্বির, নিশান, ভুলু, গোপাল বলেন, স্থানীয় ‘ডাব পাওয়া যাচ্ছে না। খুলনা থেকে কিনতেই ১০০ থেকে ১১০ টাকা পিস পড়ছে। তাই ১২০/১৩০ টাকা পিস দরে বিক্রি করছি।’

ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. মশিউর রহমান প্রতিনিধিকে বলেন, ‘এই গরমে সবাইকে যে-কোনো পানীয় জাতীয় খাবারের পাশাপাশি রোদে বের না হতে বলবো।’ ডায়রিয়া বা অন্যকোনো সমস্যা দেখা দিয়ে দ্রæত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়ার পরামর্শও দেন তিনি। 

 

 

 

 

 

 

 

 

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন