গণতন্ত্র-মানবাধিকার ও গণমাধ্যমের হাল-চাল
মোঃ শাহ জামাল
গণ অর্থ মানুষ বা জনগণ। তন্ত্র অর্থ শাসন। অর্থাৎ গণতন্ত্র মানে মানুষের দ্বারা শাসন। মানুষের শাসন। গণতন্ত্রের আন্তর্জাতিক পরিচিতি ডেমোক্রেসিতে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কন গণতন্ত্র বা ডেমোক্রেসির সঙ্গায় বলেছেন,Democracy is a Government of the people, by the people and for the people. অর্থাৎ জনসাধারণের শাসন ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের সর্বময় ক্ষমতা জনগনের উপর ন্যাস্ত থাকে। আর জনগণই সকল ক্ষমতার অধিকারি হয়। জনগণের দ্বারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে প্রচলিত শাসন ব্যবস্থার পদ্ধতির নামই গণতন্ত্র। এই পদ্ধতিতে মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষা, নাগরিকের পর্যাপ্ত স্বাধীনতা থাকবে। এটি একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের পদ্ধতি।
গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম। যখন কোন ব্যক্তি-গোষ্ঠী বা রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারকরা রাষ্ট্রের বা গণমানুষের অধিকার হরণ কিংবা জনস্বার্থের পরিপন্থি কার্য সম্পাদনে অগ্রসর হয়, তখনি অধিকার বা নীতিগত বিষয়টি গণমানুষের সামনে তুলে ধরতে গণমাধ্যম অপরিহার্য হয়ে পড়ে। ওই জায়গায় গণমাধ্যম শক্তিশালি ভূমিকা রাখে। কিন্তু বাস্তবতার আলোকে যথেষ্ট উপযুক্ত কারণে তার প্রয়োগের ক্ষেত্রে দৈন্যতা লক্ষ্যনীয় অনাকাঙ্খিত। যা গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিতে বড় অন্তরায়। যখনি একটা অন্তরায় ছায়া হিসেবে প্রতিবন্ধকতার পরিলক্ষিত হবে, তখনি গণতন্ত্র দুর্বল হয়ে পড়বে। আর দুর্বৃত্তরা স্বার্থের উন্মাদনায় নানা অপরাধের সুযোগ পেয়ে সেবকের স্থলে শাসকের নামে শোষকের আবির্ভাব ঘটাবে। ফলে রাষ্ট্রের মূল চারটি স্তম্ভের মধ্যে একটা ঘরের চতুর্থ স্তম্ভটি না থাকার হাল দাড়ায়। এই জন্য গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয়। রাষ্ট্রের চারটি স্তম্ভ থাকে। যেমন-পার্লামেন্ট, নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ এবং সর্বশেষটা হলো গণমাধ্যম। আমরা লক্ষ্য করলে দেখব যে, যত সফলতা-বিফলতা, আলোচনা-পর্যালোচনা, আদান-প্রদান, দায়-দেনা সবই এগুলোর মধ্যেই অন্তর্নিহিত থাকে।
আরো পরিস্কার করে বলতে পারি, পার্লামেন্ট চালায় আমাদের দ্বারা নির্বাচিত সম্মানিত জনপ্রতিনিধিগণ। নির্বাহী বিভাগ দ্বারা পরিচালিত হয় শাসন ব্যবস্থা। বিচার বিভাগে থাকে আইনের শাসন। যেটাকে আমরা সুশাসন বলে থাকি। সর্বশেষ গণমাধ্যম হলো-সংবাদপত্র বা সাংবাদিক সমাজ। সাংবাদিক বা গণমাধ্যমকর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একটা দেশের চিত্র জনসম্মুখে তুলে ধরেন। এজন্য সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পন। গণমাধ্যমে জনসম্মুখে তুলে ধরার বিষয়ে বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল হয়ে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে নিষ্ঠা-আন্তরিকতার সাথে জনস্বার্থেই তা প্রকাশ করা। বাস্তবতায় দেখছি যতই দিন যাচ্ছে, ততই কাজটি অত্যন্ত কঠিন, দুরূহ ক্ষেত্রে বিশেষ প্রশ্নবিদ্ধও হচ্ছে।
গণতন্ত্রকে ঘিরেই মানবাধিকার সুরক্ষা হবার কথা। গণতন্ত্র সঠিক পথে থাকলে মানবাধিকারও সুরক্ষায় থাকে। কিংবা মানবাধিকার সুরক্ষিত থাকলেই গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিবে। উন্নত রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক দেশের উপমা হচ্ছে, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। ১শ’ ৬৭টি গণতান্ত্রিক দেশগুলোর স্কোর অনুযায়ী গণতন্ত্রকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। একমাত্র পূর্ণ গণতন্ত্র ব্যতিত, ত্রæটিপূর্ণ গণতন্ত্র, স্বৈরাচারি গণতন্ত্র এবং হাইব্রিড গণতন্ত্রের যাঁতাকলে গণতান্ত্রিক দেশের সংখ্যা ক্রমশ কমছে। জার্মান গবেষণা ইনস্টিটিউট বেরটেলসমান স্টিফটুং এর প্রতিবেদনে প্রকাশ, ২০১৫ সালে পৃথিবীতে ১৭টি গণতান্ত্রিক দেশ এবং ৫৮টি একনায়কতান্ত্রিক দেশের তালিকা প্রকাশিত হয়। একনায়ক তন্ত্রের এই তালিকায় বাংলাদেশের নামও আছে।
২০১৬ সালেও একনায়কতন্ত্রের দেশ ছিল ৫৫টি এবং গণতান্ত্রিক দেশ ছিল ৭৪টি। প্রখ্যাত মার্কিন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ফিলিপস হান্টিংটন রচিত দ্য থার্ড ওয়েভ: ডেমোক্রেটাইজেশন ইন দ্যা লেট টোয়েন্টিথ সেঞ্চুরি বইতে উল্লেখ, ১৮২৮ থেকে ১৯২৬ সাল পর্যন্ত গণতন্ত্রের জোয়ার ছিল। যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্সসহ ২৯টি দেশ গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু করে। দ্বিতীয় বিশ^যুদ্ধের পর গণতান্ত্রিক দেশের সংখ্যা ছিল ৩৬টি। ১৯৫৮ থেকে ১৯৭২ পর্যন্ত গণতান্ত্রিক দেশের সংখ্যা ক্রমশ কমতে থাকে। ১৯৭৪ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ছিল ৭২টি। বর্তমান বিশে^ কর্তৃত্ববাদের শাসনের নামে শোষণের খেলা চলছে। সূত্র- ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল কালের কণ্ঠ।
সম্প্রতি গণতন্ত্রের আদর্শ থেকে বিচ্যুতির ফলে দেশপ্রেমহীন স্বার্থান্বেষের রাজনীতি, নীতি-আদর্শ বিবর্জিত কালচারেই নানা অন্যায়-অনাচার, দুর্নীতি-অনিয়মের শেষপর্যায়ে মানবাধিকারের লঙন চরমে পৌঁছেছে। ক্ষমতাকে কুক্ষিগত এবং নিজেদের অপকর্মের ধামাচাপা দিতে হীনমানষিকতার বহিপ্রকাশ ঘটানো হয় বিকৃত রুচিতে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী-প্রশাসনের কর্তাবাবু থেকে শুরু করে নিজ দলের ক্যাডার-খুনি লেলিয়ে দিতেও কার্পণ্য করা হয় না। প্রতিহিংসার পাল্টাপাল্টি রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা-হামলা-খুন-গুম-মানুষ পুড়িয়ে হত্যা-জ¦ালাও-পোড়াও-লুটতরাজের অপসংস্কৃতির কুফল নিদর্শনে বাকরুদ্ধ বৈকি। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ থাকবেই। কিন্তু প্রতিহিংসার কুফলের ধ্বংশযজ্ঞ, নারী-শিশু-ছাত্র-জনতা-পুলিশ-গণমাধ্যমকর্মীর প্রাণঘাতির করুণ চিত্র কারোরই কাম্য হতে পারে না। একটা প্রাণ নিশেষ করতে-একটা গুলিই যথেষ্ট’র স্থলে; শত গুলি ছোড়ার বাধ্যকরার উপমাই বলে দেয়; শাসকগোষ্ঠী কতটা নিষ্ঠুর-হিংসুক। ফলশ্রæতিতে বিক্ষুদ্ধ জনতার প্রতিশোধের ক্ষোভ মেটাতে পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা শেষে দিনভর লাশ ঝুলিয়ে রাখার বিরল ঘটনা শুধু নজির স্থাপন করেনি, বিবেকেরও দংশন করেছে। মানবাধিকার প্রশ্নের ব্যাখ্যা ও পর্যালোচনায়, পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন-আগের ঘটনা যেমন, পরের ঘটনাও তেমনই প্রতিহিংসা কিংবা প্রতিশোধের উপমা। যেটাকে আইন বহির্র্ভূত এবং নিজের হাতে আইন তুলে নেয়ার উদাহরণ। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদে এগুলো মানবাধিকার লঙনের সুস্পষ্ট বার্তা দেয়। এই মানবাধিকার লঙিতের পর্যবেক্ষণে আন্তর্জাতিক মহলও বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। এটা কি ভাবা যায়!!
নষ্ট এই অপসংস্কৃতি দূরিকরণে দ্রæত উদ্যোগ না নিলে এর দায়ভার আরো ভয়াবহতার দিকে যাবে। ছড়িয়ে পড়বে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে। এই প্রেক্ষাপটে গণমাধ্যমের ভূমিকা যেমন অপরিসিম; তেমনি গণমাধ্যমের স্বাধীনতারও নিশ্চিয়তা জরুরি। বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রেখে কাজ করতে গণমাধ্যমকে সবসময়ই পাহাড়সম প্রতিকূলতা মোকাবেলা করতে হয়। ক্ষেত্রবিশেষ প্রাণ বিসর্জনের উপমা নতুন নয়। মানবাধিকার রক্ষায় গণমাধ্যম সবার আগে এগিয়ে আসে। ক্ষমতাসিন কিংবা মানবধিকার লঙনকারি বা অপরাধিরা গণমাধ্যমকর্মীদের উপর নির্মমতা-মামলা-হামলা-নির্যাতনের অপসংস্কৃতিতে পুরো সাংবাদিক সমাজ প্রায় বন্দিদশায়। ইদানিং ঢালাওভাবে পেশাদার প্রকৃত সাংবাদিকদের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিলের উৎসব নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যা স্বাধীন সাংবাদিকতার রেড সিগনাল। ক্ষেত্রবিশেষ অপশক্তিধরেরাই অপসাংবাদিকদের প্রতিষ্ঠিত করছে। প্রকৃত সাংবাদিকরা থাকছে সবসময় পিছিয়ে বা বিরোধী দলে। এমনতো হবার কথা ছিল না।
রাষ্ট্র এবং গণমানুষের স্বাধিকার রক্ষা, অনাচারের বিরুদ্ধে করুন তথ্য উদঘাটন ও প্রকাশে কত যে বিপত্তি! কালে-ভাদ্রে কিংবা শতাব্দিতেও তা অপ্রকাশিতই থাকে। এই বেদনা সইবার নহে। গত আগস্ট মাসে সপ্তাহ জুড়ে রণক্ষেত্রের প্রতিচিত্রে ছাত্র-জনতাসহ সাধারণ মানুষের ন্যায়; মিডিয়া কর্মীদের প্রকৃত খবর সংগ্রহ এবং প্রকাশে বিপত্তির করুণ দশা-ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আগস্টের আন্দোলন কিংবা তারো আগের দিনগুলোর আলোচিত ঘটনার প্রকৃত চিত্র জানাতে মাঠে থাকা গণমাধ্যমকর্মীদের তীক্ত অভিজ্ঞতার ঝুড়ি পৃথক কয়েকটি গ্রন্থ-নাটক-সিনেমারও উপজীব্য হয়ে যাবে। তথ্য-প্রযুক্তির যুগে আগস্টের চলমান ঘটনার তাৎক্ষণিক খবর প্রকাশে বিপত্তি থাকায় অনেক পরে সেগুলো ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছে। এখনো হচ্ছে। দেশে-বিদেশে গণমাধ্যমকর্মীদের এমন অসংখ্য উপমা নতুন নয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, বিগত সকল সরকারের আমলেই গণমাধ্যমকর্মীদের দলন-নির্যাতন, কণ্ঠরোধের নমুনা, মিডিয়া হাউজ-প্রেস ক্লাবে ঢুকে সাংবাদিকদের উপর নগ্ন হামলা; এমনকি মিডিয়া বন্ধ করার নজির পুরনো ট্রেডিশন। সরকার পরিবর্তনের সাথে জার্সি বদল হয়ে অশুভ শক্তির মহড়ায় অপ্রত্যাশিত বিষয়গুলো সামনে আসতেই থাকলে মানবাধিকার সুরক্ষা কিভাবে হবে? বিরোধী দলে থাকলে, গণমাধ্যমের জন্য মায়াকান্না এবং অধিকারের কথা বলে। অথচ ক্ষমতায় গেলে উল্টো পথে চলে। এগুলো কি প্রমাণ করে না যে, গণমানুষ কিংবা গণমাধ্যম আসলে কতটা স্বাধীন? আগস্ট মাস থেকে হাসিনা সরকারের পতনের পর বর্তমানে বাংলাদেশে চলছে অন্তবর্তী বা অস্থায়ী সরকার ব্যবস্থা। অতিত-বর্তমান অবস্থা তুলনা করলেও মানবাধিকার সুরক্ষার প্রতিচিত্রও কারোর অজানা নয়। জাতি ভালো কিছুর আশায় করছে। রাষ্ট্রের আমুল সংস্কার পূর্বক-পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের কাছে বাংলা মায়ের মুখোজ্জলের প্রত্যাশা করছি। মানবাধিকার লঙনের আর কোন উপমা দেখতে চাই না। বহু প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত এই দেশ হোক সুখি-সমৃদ্ধি আগামীর বাংলাদেশ। নতুন করে কারোর প্রাণ বিসর্জন কিংবা অধিকার হরণের অপসংস্কৃতি বন্ধ হোক।
প্রতিবেশি দেশ ভারতের কাছে মন চাইলেই শতশত ফেলানীর জীবনের মুল্যহীনের বিষয়টিও ভেবে দেখা উচিত। আর গর্বের বাংলাদেশের বর্ডার গার্ডরা মানবাধিকার রক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। বিশে^র বুকে এরাই শান্তি প্রতিষ্ঠায় নজির স্থাপন করেছে। অথচ এক সময়ে বহিশক্তির আক্রমনের হাত থেকে বরাবরই দেশ এবং নিজেদের রক্ষায় তৎকালিন বিডিআরের বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল।
দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র কারিদের প্রতি ঘৃনা ছোড়া হোক। বিশ^পরিস্থিতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, দেশে দেশে চলছে সংখ্যালঘু নির্যাতন। ফিলিস্তিনে দখলদার ইসরাইলের ফেরাউনি তান্ডব আজরাইলে পরিণত হয়েছে। ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিম নিধনের ইতিহাস কিংবা মায়ানমারের নিরীহ মানুষ নিধনসহ দুরবস্থা এবং রোহিঙ্গার ইস্যুতে পুরো পৃথিবী নিরব। মুখে বলে এক কথা অন্তরে পোষে আরেক কথা।
ফিলিস্তিন-মায়ানমারসহ দেশেদেশে মানুষ নিধনের চিত্র পৃথিবীর মোড়লরা দেখেও দেখে না। শোনেও শুনে না। তাইতো মনের কষ্টে বলতে বাধ্য হায়, জল্লাদের উল্লাস খুনে/বাপ-মা কসাইখানা গুনে/ঘর থেকে বের হলে/সব যায় রসাতলে। গাছ-মাটি তরুলতা/মরু-পাথর বৃক্ষলতা/মরালাশের গন্ধ ভাসে/উড়ছে কীট-বাতাসে \/আরব বসন্তের ডালে/নারী-মদ-ডলার চলে/অস্ত্র বিক্রির ছলে/যুদ্ধ চায় তলেতলে সর্বশেষ বলতে চাই, রাষ্ট্রের সাথে মানবাধিকার সুরক্ষা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। রাষ্ট্রের নিরাপত্ত¡ায় সীমান্তরক্ষিরা যেভাবে চব্বিশ ঘন্টার পাহারাদারের কাজ করছেন। তেমনি দেশের অভ্যন্তরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে একযোগে চব্বিশ ঘন্টার অতন্ত্র প্রহরির দায়িত্বে থাকতে হয় গণমাধ্যমের চোখ।
এই গণমাধ্যমের সুবাদেই রাজা-রাষ্ট্র-প্রজার ভালো-মন্দ, সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না-ব্যাথা-বিরহেরও ভাগিদারের চিত্র দর্পণের সামনে তুলে ধরতে হয়। দর্পণের সামনে জবাবদিহি করতে গিয়ে বহু গণমাধ্যমকর্মীর উপর নির্মমতা, নির্যাতন, শোষণ, পঙ্গুত্ব এমনকি প্রাণহানির করুণ চিত্রের অব্যাক্ত বেদনা বাহ্যিক দর্পণে প্রদর্শিত হয় না। যা অন্তরের দর্পণের সামনে আসে বার বার। সমৃদ্ধ হোক গণতন্ত্র। সমৃদ্ধ হোক মানবাধিকার এবং গণমাধ্যম। সমৃদ্ধ হোক আগামীর বাংলাদেশ। এগিয়ে যাক সোনার বাংলা।
লেখক, গণমাধ্যম ও মানবাধিকার কর্মী, দৈনিক ইত্তেফাক সংবাদদাতা, সভাপতি মেলান্দহ রিপোর্টার্স ইউনিটি, জামালপুর