কুলাউড়ায় টাকা নিয়েও ভাতা দেননি মহিলা ইউপি সদস্য
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
কুলাউড়ায় বিধবা ভাতা দেওয়ার নাম করে টাকা আত্মাসাতের অভিযোগ উঠেছে হাসিনা আক্তার ডলি নামে এক মহিলা ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। ডলি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সদস্য।
জানা গেছে, দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে এলাকায় তিনি ভাতাভোগী নির্বাচনে নানা অনিয়ম আর স্বজনপ্রীতি করেছেন। অনেক উপকারভোগীকে টাকার বিনিময়ে বিধবা, বয়স্কসহ বিভিন্ন ভাতা দিয়েছেন। আবার অনেক লোকের কাছ থেকে টাকা নিলেও ভাতা দেননি। এমনকি দশ কেজি করে দরিদ্রদের চাল বিতরণেও করেছেন অনেক অনিয়ম।
ইউপি সদস্য ডলি ভুক্তভোগীদের বাড়িতে এসে বলে বয়স্ক-বিধবা ভাতা পেতে হলে খরচ বাবদ টাকা লাগে। ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত আবুল হোসেন খানের স্ত্রী আবজুন বেগমের ১০০০, মৃত জামাল মিয়ার স্ত্রী নাজমা বেগমের ১০০০ টাকা, মৃত হোসেন মিয়ার স্ত্রী সাজু বেগমের ১০০০ টাকা বিধবা ভাতার জন্য নেন মহিলা সদস্য ডলি। দুই মাসের ভেতর ভাতার কার্ড দেয়ার আশ্বাস দিলেও তিনি কাউকে ভাতার কার্ড দেননি এবং ভাতার টাকাও ফেরত দেননি। এদিকে ইউপি সদস্য হাসিনা আক্তার ডলির বাড়ি যাওয়ার প্রবেশপথে সরকারি প্রকল্পের টাকা দিয়ে প্রায় ৫০ ফুট রাস্তা ইটসলিং করা হয়। এ নিয়ে এলাকায় নানা সমালোচনা হয়।
ভুক্তভোগী নাজমা বেগমের ছেলে জুবেল মিয়া এই প্রতিবেদককে জানান, প্রায় দুই বছর আগে আমার মা, খালা সাজু ও প্রতিবেশী পলাশের আম্মাকে ভাতা দেওয়ার জন্য মহিলা সদস্য ডলির বাড়িতে গিয়ে ৩ হাজার টাকা সরল বিশ্বাসে তাকে দেই। কিন্তু তিনি দুইমাসের ভেতর ভাতা দিবেন বলেছিলেন কিন্তু আজও ভাতা পাইনি। ভাতা না হলে টাকা ফেরত চাই।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য হাসিনা আক্তার ডলি বলেন, আমার ওয়ার্ড থেকে স্থানীয় মেম্বারসহ কিছু লোক মারফতের মাধ্যমে ভাতা দেবার জন্য টাকা সংগ্রহ করে চেয়ারম্যানকে দেওয়া হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু আমি সরাসরি কোন টাকা পয়সার লেনদেন করিনি। পরবর্তীতে চেয়ারম্যান শ্রীপুর, হরিপুর, দাসের মহলে প্রায় ৯টি পরিবারকে টাকা ফেরত দিয়েছেন। যাদের টাকা এখনো দেয়া হয়নি তাদের টাকা পরিশোধ করা হবে।