ডার্ক মোড
Tuesday, 02 July 2024
ePaper   
Logo
কাস্টমস কর্মকর্তা মতিউরের মেয়ের যত সম্পদ

কাস্টমস কর্মকর্তা মতিউরের মেয়ের যত সম্পদ

নিজস্ব প্রতিনিধি

ছাগলকাণ্ডে একে একে বের হতে থাকে মতিউরের দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জন করা কোটি কোটি টাকার সম্পদ। শুধু মতিউর না তার দুই স্ত্রী এবং সন্তানদের নামে বেনামে থাকা সম্পদের তথ্যও প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। মতিউরের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকীর মেয়ে ফারজানা রহমান ইপ্সিতা সম্পদের তথ্য এবার ফাঁস হয়েছে।

মাত্র ৩২ বছর বয়স। নিজেকে মেকআপ আর্টিস্ট হিসাবে পরিচয় দেন এই তরুণী। পড়াশোনা শেষে এই পেশায় যোগ দিয়ে কতই বা আয় করতে পারেন। কিন্তু বিস্ময়কর হলেও সত্যি, এই অল্প বয়সেই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় সাততলা বাড়িসহ শতকোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন। কানাডায় নিজস্ব ফ্লাটে বসবাস করেন ইপ্সিতা।

কানাডায় তার বাড়ি-গাড়িসহ বিলাসী জীবনের ছবি ঘিরে নেট দুনিয়ায় হইচই চলছে। তবে কানাডার চেয়ে দেশেই তার বেশি সম্পদ রয়েছে।প্রশ্ন উঠেছে একজন মেকআপ আর্টিস্ট এত টাকার সম্পদের মালিক হলেন কীভাবে।

ইপ্সিতার সম্পদ নিয়ে একাধিক সূত্রে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য সামনে এসেছে, ২০২৩ সালে মতিউর কন্যার প্রকাশিত আয়কর ফাইলেই ৪২ কোটি টাকার সম্পদ দেখানো হয়েছে। সোনালী সিকিউরিটিজে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা, সিনাজি ট্রেডিং লিমিটেডে ৫ লাখ টাকা, গ্লোবাল সুজ কোম্পানিতে ৪ কোটি ৯৪ লাখ ৫৫ হাজার, ওয়ান্ডার পার্কে ১০ লাখ ও মামুন অ্যাগ্রো প্রোডাক্টস কোম্পানিতে ৪৫ লাখ ৪৫ হাজার ৬৯০ টাকা বিনিয়োগ রয়েছে ইপ্সিতার।

আয়কর নথিতে আরও জানা গেছে, বিভিন্ন স্থানে ঋণ ও ধার বাবদ ইপ্সিতার সম্পদ আছে ২২ কোটি টাকার। নরসিংদীতে হেবামূলে দেড় একর জমি আছে তার। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বিলাসবহুল এলাকার সাততলা বাড়ি মালিক তিনি। বাড়িটির মূল্য অন্তত ৫০ কোটি হলেও আয়কর নথিতে তা ৫ কোটি দেখানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, মতিউর রহমান তার অবৈধ পথে আয় করা কোটি কোটি টাকা বিভিন্ন কৌশলে বৈধ করার অপচেষ্টাও চালিয়েছেন। ইপ্সিতার নামে থাকা বিপুল সম্পদ তারই নমুনা মাত্র।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি)-এর নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান গণমাধ্যমে বলেন, বয়স ও পেশার সঙ্গে ইপ্সিতার সম্পদের পরিমাণ স্পষ্টতই অস্বাভাবিক। বাবার প্রভাবে তার আয়কর ফাইল রাজস্ব বিভাগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়নি। বাবার প্রভাবে তিনি আটকাননি। দেশে যারা কর ফাঁকি দিতে চান তারা পার পেয়ে যান, আর স্বচ্ছতার সঙ্গে কর দিতে চাওয়া মানুষেরা নানামুখী হয়রানির শিকার হন। এখন দুদকের উচিত হবে মতিউর রহমান, তার দুই পক্ষের স্ত্রী-সন্তান, ভাই-বোন ও আত্মীয়স্বজনের সম্পদের খোঁজ নেওয়া।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন