ডার্ক মোড
Monday, 29 April 2024
ePaper   
Logo
কলাপাড়ায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে জাল টাকা চক্রের সদস্যরা

কলাপাড়ায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে জাল টাকা চক্রের সদস্যরা

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর আসলেই পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সক্রিয় হয়ে ওঠে জাল টাকা চক্রের সদস্যরা। এ সময়টায় বিভিন্ন ব্যাংক-বীমা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জাল টাকা চালানোর অপচেষ্টা অব্যাহত রাখে ওই চক্রটি। এতে বেশীর ভাগ অনভিজ্ঞ মানুষ প্রতারনার শিকার হচ্ছে। এসব জাল টাকার মধ্যে এক হাজার কিংবা পাঁচশত টাকার নোট অপেক্ষাকৃত বেশী বলে জানা গেছে।

উপজেলার আলীপুর, মহিপুর, কুয়াকাটা এবং বালিয়াতলী -বানাতি বাজার এলাকায় ওই চক্রের সদস্যরা সবচেয়ে বেশী সক্রিয়। এরা বেশীর ভাগ লেনদেন করে গ্রাম গঞ্জের দোকান পাট, গরু-ছাগলের হাট বাজার কিংবা জনবহুল সাপ্তাহিক হাট- বাজারে। এক হাজার এবং পাঁচশত টাকার জাল নোট এবং অরিজিনাল নোট গুলো দেখতে প্রায় একই রকম বলে অনেকের পক্ষে সহজেই চেনা সম্ভব হয় না। ফলে মানুষ প্রতারিত হচ্ছে অহরহ ।

বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যাংক-বীমায় খবর নিয়ে জানা গেছে, এসব জাল চক্রের সদস্যরা টাকা খুচরা করার নামে জাল টাকা দিয়ে ধরা পড়েছে। এতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ওই জাল টাকা পুড়ে ফেলেছে। তবে ব্যবসায়ীদের অনেকে নকল টাকা সনাক্ত করতে না পেরে লোকসানে পড়েছেন। তবে এ জাল টাকা চক্রের সদস্যরা ঈদ, কোরবানিতে সক্রিয় থাকলেও বছরে অন্যান্য সময় তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ জাল টাকা চক্রের সদস্যদের দু'একজন ধরা পড়লেও বাকীরা রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে।

নাগরিক উদ্যোগ কলাপাড়ার আহবায়ক কমরেড নাসির তালুকদার জানান, গোয়েন্দা সংস্থার দুর্বলতার কারনে এ চক্রের সদস্যরা ধরা পড়ছে না। দেশ থেকে জাল টাকা চক্রের সদস্যদের নির্মূল করা জরুরী হয়ে পড়েছে।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর কলাপাড়ার সভাপতি শামসুল আলম বলেন' প্রতারক চক্রের সদস্যদের জরুরী ভিত্তিতে সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হোক।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন