এক ঘন্টা দেরিতে আসায় পরীক্ষা দিতে পারলো না কুলাউড়ার ৪ শিক্ষার্থী
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
কুলাউড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষায় মানবিক বিভাগের চারজন শিক্ষার্থী পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টা পর আসায় কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারা শিক্ষার্থীরা হলো-উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের উত্তর কৌলা গ্রামের অজিত দেবের মেয়ে শ্রাবণী দেব, ফটিক দেবের মেয়ে আখি দেব পূর্ণিমা, নির্মল দেবের মেয়ে বৈশাখী দেব, বিমল দেবের মেয়ে অর্ণা দেব। তারা প্রত্যকেই নবীন উচ্চ সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে চার শিক্ষার্থীর স্বপ্ন পূরণ হলো না। ছোট্ট ভুলের কারণে শিক্ষাজীবন থেকে একটি বছর তাদের নষ্ট হয়ে গেল।
শিক্ষার্থী শ্রাবণী দেব জানান, রবিবার কুলাউড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ৭ নম্বর কক্ষে আমাদের ইতিহাস বিষয়ের পরীক্ষা ছিল। কিন্তু পথিমধ্যে কৌলা ব্র্যাক অফিসের সামনে সিএনজি অটোরিকশা নষ্ট হওয়ায় আমরা সময়মত পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারিনি। এক ঘন্টা পর সকাল ১১টায় কেন্দ্রে প্রবেশ করলেও কেন্দ্র প্রধান মতিন স্যার আমাদের পরীক্ষার হাজিরা শিটে স্বাক্ষর পর্যন্ত নেননি। দেরি হয়েছে বলে তিনি আমাদের কেন্দ্র থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। যদি আমাদের পরীক্ষার সুযোগ দেয়া হতো তাহলে বাকিসময়ে আমরা পাশ মার্ক তুলতে পারতাম।
নবীন চন্দ্র সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আমির হোসেন বলেন, আমি কুলাউড়ার বাইরে আছি। পরীক্ষা শেষ হবার আধা ঘন্টা পর কেন্দ্র প্রধান বিষয়টি আমাকে জানান।
কেন্দ্র প্রধান ও কুলাউড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল মতিন বলেন, ওই চার শিক্ষার্থী এক ঘন্টা ২৬ মিনিট পর পরীক্ষা কেন্দ্রে আসে। নির্ধারিত সময়ের প্রথম ৩০ মিনিটের মধ্যে তাদের নৈব্যক্তিক পরীক্ষা শেষ। বিধি মোতাবেক দেরি করে আসার কারণে তাদের পরীক্ষা দেবার সুযোগ ছিলনা। তবে বাকি বিষয়ের পরীক্ষাগুলো তারা দিতে পারবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মাসুদুর রহমান বলেন, নির্ধারিত সময়ের ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে এটাই নিয়ম। ইতিহাস বিষয়ের এমসিকিউ পরীক্ষা যখন শেষ হয়ে যায় তখন ওই চার শিক্ষার্থী দেরিতে আসায় তাদের পরীক্ষা দেয়ার কোন সুযোগ ছিল না। তারপরও বিষয়টি ইউএনও স্যারকে জানিয়েছি।