ইন্টারনেট মোবাইল ছাড়া দৈনন্দিন জীবন কেমন হতে পারে
ডক্টর সাইফ উদ্দিন (মাহিন)
PS-4 কিংবা "রোল বক্স" ছাড়া কি ধরনের খেলাধুলা করা যেতে পারে?
ইঞ্জিন চালিত মোটরযান ছাড়া কিভাবে দূরের গন্তব্যে যাতায়াত করা যাবে?
--- এধরনের বেশ কিছু প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিল বর্তমান প্রজন্মের স্কুল গামী ছেলেমেয়েদের এবং কমিউনিটির ষাট ঊর্ধ্ব সিনিয়র সিটিজেনদের।
গত বুধবার জেনারেশন ফেস টু ফেস" শীর্ষক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গ্লাসগোর বাংলা সেন্টার আয়োজন করে তিনটি ভিন্ন প্রজন্মের কৈশোরের দৈনন্দিন জীবন যাপনের আলাপচারিতার ভিন্নধর্মী এক সামাজিক শিক্ষণীয় অনুষ্ঠান।
ডক্টর সাইফ আহমেদের পরিচালনায় এবং মলয় সরকারের ভিডিওগ্রাফি উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে তুলে ধরা হয় বিগত প্রজন্মের ডাঙ্গুলীর মত খেলাধুলার গল্প,,,, পালকিতে কিংবা গরুর গাড়িতে করে পথ চলা,,,,, বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় হারিকেন কিংবা কুপি ব্যবহার করে মাছ ধরা আর লেখাপড়ার গল্প।
সিনিয়র সিটিজেনদের নিঃসঙ্গতা কাটাবার প্রয়াশে এবং বর্তমান যুগের ছেলেমেয়েদের চাহিদা উপলব্ধি করানো ছিল অনুষ্ঠানটির অন্যতম উদ্দেশ্য।
পক্ষান্তরে বর্তমান প্রজন্মের নিকট পুরনো দিনের লোকদের কৈশোরের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার ইতিহাস তুলে ধরা ছিল আরেকটি উদ্দেশ্য।
বিভিন্ন বয়স গ্রুপের ব্যক্তিবর্গের প্রাণবন্ত আলাপচারিতায় আর ভিডিও প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে এ সমস্ত সবকিছুই ফুটে ওঠে যা ছিল ভিন্ন বয়সী তিনটি প্রজন্মের ব্যক্তিদের একটি সামাজিক মিথস্ক্রিয়া।
ভিন্নধর্মী এই অনুষ্ঠানটি কমিউনিটিতে ব্যাপক সাড়া ফেলে।
ভবিষ্যতে গ্লাসগোর বাংলা স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে এ ধরনের আয়োজন আরো নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠানের পক্ষে বিশিষ্টজনেরা মতামত ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানটির পৃষ্ঠপোষক ছিল "এইজ স্কটল্যান্ড" নামের অপর একটি চেরিটি সংগঠন।
অনুষ্ঠান শেষে সিনিয়র সিটিজেনদের মধ্যে উপহার সামগ্রী তুলে দেয় নতুন প্রজন্মের বাংলা স্কুলের শিক্ষার্থীরা। পরিশেষে বাংলাসেন্টারের প্রেসিডেন্ট আশরাফ চৌধুরী আগামীতে এধরনের অনুষ্ঠান করার আশা বেক্ত করেন .