আরও দুই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন আসিফ নজরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ নেওয়া নতুন চার উপদেষ্টার মধ্যে দপ্তর বণ্টন করেছে সরকার। এছাড়া আগে দায়িত্ব পাওয়া ৮ উপদেষ্টার দপ্তর পুনঃবন্টন করা হয়েছে। এতে আসিফ নজরুলকে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি নতুন করে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়, আলী ইমাম মজুমদারকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সংযুক্ত, মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয় ও লে. জে. জাহাংগীর আলম চৌধুরীকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এদিন বিকেল ৪টায় শপথ নেন চার উপদেষ্টা। বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাদের শপথবাক্য পাঠ করান। এসময় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্য উপদেষ্টারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে তিন দফায় শপথ গ্রহণ করেন ১৭ উপদেষ্টা। এর মধ্যে ৮ আগস্ট শপথ নেন প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের ১৩ উপদেষ্টা। ঢাকা ও দেশের বাইরে থাকায় তিনজন উপদেষ্টা সেদিন শপথ নেননি।
পরে ১১ আগস্ট দুপুরে বঙ্গভবনে শপথ নেন অন্তর্বর্তী সরকারের আরও দুই উপদেষ্টা, সুপ্রদীপ চাকমা ও বিধান রঞ্জন রায়। সবশেষ ১৩ আগস্ট শপথ নেন ফারুক ই আজম।
গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপরই বিলুপ্ত হয় মন্ত্রিসভা। পরদিন (৬ আগস্ট) ভেঙে দেওয়া হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ। এরপর ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। পরে ৯ আগস্ট শপথ নেওয়া প্রধান উপদেষ্টা এবং অন্য উপদেষ্টাদের দপ্তর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
প্রসঙ্গত, আসিফ নজরুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক। তার জন্ম ১৯৬৬ সালে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (সম্মান) ও এলএলএম করেন। ১৯৯৯ সালে যুক্তরাজ্যের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজ থেকে আন্তর্জাতিক আইনে পিএইচডি লাভ করেন আসিফ নজরুল।
১৯৯১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের আগে আসিফ নজরুল সাপ্তাহিক ‘বিচিত্রা’য় কাজ করতেন। তিনি কয়েক মাস সরকারি কর্মকর্তা (ম্যাজিস্ট্রেট) হিসেবেও কাজ করেছেন।