ডার্ক মোড
Tuesday, 07 May 2024
ePaper   
Logo
আনোয়ারায় হাইড্রোলিক হর্নের ভোগান্তির চরম সাধারণ মানুষ

আনোয়ারায় হাইড্রোলিক হর্নের ভোগান্তির চরম সাধারণ মানুষ

আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

দক্ষিণ চট্টগ্রামে অন্যতম অর্থনীতি সমিদ্ধ এলাকায় হচ্ছে আনোয়ারা উপজেলা। অর্থনীতি সমিদ্ধ এলাকায় ঘিরে যানবাহনের যেন কমতি নেই। প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছে নিষিদ্ধ হাইড্রোলিক হর্নের ব্যবহার। একই সাথে তাল মিলিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে বিরাট শব্দ দূষণ।

সরেজমিনে উপজেলা সবচেয়ে ব্যস্ততম সড়ক চাতরী চৌমুহনী বাজার,বন্দর সেন্টার,কালাবিবি দিঘির মোড়,বটতলী রস্তমহাটের ঘুরে দেখা যায়। যেন নিষিদ্ধ হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহারের প্রতিযোগিতায় নেমেছে সিএনজি (অটোরিকশা), মোটর চালিত রিকশা,টমটম,মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, মিশুক,বাইসাইকেল,বাস, ট্রাক, প্রাইভেট কার।

বাঁশখালী উপজেলার শান্তুনু দাশ নামে এক ব্যক্তি জানান, এম্বুল্যান্স গাড়ি হর্ন এখন ব্যবহার করা হচ্ছে, সিএনজি, মাইক্রো, কার, ব্যাটারি চালিত রিকশা এবং মোটরসাইকেল। এই সব হর্ন শুনে প্রতিনিয়ত ভ্রামন্ত হচ্ছে সাধারণত মানুষ। আগে এম্বুলেন্সের সাইরেন দিলে অন্যান্য গাড়িগুলো এম্বুলেন্সকে সাইড দিত। এখন এম্বুলেন্সের গাড়ি হর্ন গুলো ব্যবহার হচ্ছে অন্যান্য যানবাহনের।এখন রোগী বহন কারী এম্বুলেন্সের সাইরেন বাজিয়েও কাজ হয় না।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর আদালত থেকে হাইড্রোলিক হর্ন বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হয়। একইসঙ্গে পরিবেশ সংরক্ষণ বিধি ১৯৯৭ ও শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধি ২০০৬ অনুযায়ী ঢাকার গুলশান, বনানী, অফিসার্স ক্লাব, বারিধারা ও ধানমন্ডি এলাকাসহ সারাদেশে উচ্চশব্দ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয়সংখ্যক নজরদারি টিম (সার্ভিলেন্স টিম) গঠনে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেয়া হয়।

এটি বাস্তবায়নে পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার (হাইওয়ে), ট্রাফিক পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার ও বিআরটিএ চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দেয়া হয়।

জানা যায়, মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা,স্কুল, কলেজ কিংবা হাসপাতালের আশেপাশে হর্ন বাজানো নিষেধ থাকলেও তা মানে না অনেকেই।

শব্দ দূষণকে স্বাস্থ্যের জন্য নীরব ঘাতক উল্লেখ করে পরিবেশ অধিদফতরের প্রচার-প্রচারণা থাকলেও তাতে সাড়া দিচ্ছে না কেউই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বসতি এলাকায় শব্দের মাত্রা দিনের বেলা ৫৫ ডিবি ও রাতে ৪৫ ডিবি হওয়া উচিত। বাণিজ্যিক এলাকায় দিনে ৬৫ ডিবি, রাতে ৫৫ ডিবি, শিল্পাঞ্চলে দিনে ৭৫ ডিবি, রাতে ৬৫ ডিবির মধ্যে শব্দমাত্রা থাকা উচিত। হাসপাতালের আশেপাশে, সাইলেন্ট জোন বা নীরব এলাকায় দিনে ৫০ রাতে ৪০ ডিবি শব্দমাত্রা থাকা উচিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এই ব্যাপারে আনোয়ারা ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ (টিআই) মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা গাড়ি থেকে হাইড্রোলিক হর্ন গুলো খুলে নেওয়া হয়েছে।চালকদের হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার না করানো জন্য নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে গাড়ি চালকরা যদি সচেতন না হয়।তাহলে তাদেরকে জরিমানা করে হাইড্রোলিক হর্ন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। হাইড্রোলিক হর্ন অপসারণে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন