Dark Mode
Wednesday, 30 April 2025
ePaper   
Logo
টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে গোবিপ্রবি ও গ্রিনটেক ফাউন্ডেশনের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে গোবিপ্রবি ও গ্রিনটেক ফাউন্ডেশনের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

 
গোলাম রব্বানী, গোপালগঞ্জ 
 
দেশের উচ্চশিক্ষা খাতে টেকসই উন্নয়ন ও স্মার্ট রূপান্তরের নতুন দিগন্ত উন্মোচনের লক্ষ্যে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোবিপ্রবি) এবং গ্রিনটেক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। 
 
সম্প্রতি উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর এবং ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক লুৎফর রহমান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এ চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন। বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন, দ্রুত নগরায়ন ও প্রাযুক্তিক পরিবর্তনের যুগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য টেকসই ও স্মার্ট অবকাঠামো গড়ে তোলা সময়ের দাবি। 
 
গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সেই বৈশ্বিক উদ্যোগের সাথে নিজেকে সংযুক্ত করতে অগ্রগামী হয়েছে। এই যাত্রায় পরিবেশ, জলবায়ু ও টেকসই উন্নয়নে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন গ্রিনটেক ফাউন্ডেশন "Facilitating Partner" হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে থাকবে। চুক্তির আওতায় ক্যাম্পাসের অবকাঠামো, সেবা ও জীবনধারাকে এমনভাবে রূপান্তর করা হবে যাতে এটি আন্তর্জাতিক মানের সবুজ ও স্মার্ট ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে টেকসই অবকাঠামো ও জলবায়ু সহনশীল শিক্ষাঙ্গন গড়ে তোলার জন্য সম্প্রতি গ্রিনটেক ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যানের সাথে বৈঠক করে। বৈঠকে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ‘টেকসই গ্রিন এন্ড ক্লিন ক্যাম্পাস’ মডেলটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs) অর্জনে অবদান রাখার জাতীয় প্রকল্প প্রস্তাবের বিষয়েও আলোচনা হয়। গোবিপ্রবিতে এই পাইলট প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন পুরো দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য রোল মডেল হিসেবে কাজ করবে। 
 
চুক্তির লক্ষ্য হচ্ছে গোবিপ্রবিকে এমন এক ক্যাম্পাসে রূপান্তর করা, যা হবে পরিবেশবান্ধব, প্রযুক্তিনির্ভর ও শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক। প্রথম পর্যায়ে অগ্রাধিকার পাওয়া ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে জলাশয় ব্যবস্থাপনা ও মাছ চাষ সম্প্রসারণ, ক্যাম্পাস গ্রিনিং ও বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম, সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন সুবিধা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট, মিউনিসিপ্যাল বর্জ্য থেকে শক্তি উৎপাদন প্রকল্প, স্মার্ট গাড়ি পার্কিং ও যানবাহন ব্যবস্থাপনা, শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণমূলক ক্লাব গঠন, স্মার্ট ক্লাসরুম ও স্মার্ট আইডি কার্ড, ক্যাম্পাস এনার্জি অডিট এবং দক্ষতা বৃদ্ধি, শিক্ষাবৃত্তি ও মাইক্রো- এডুকেশন লোন সুবিধা, একীভূত শিক্ষার্থী সেবা কেন্দ্র, চাকরি মেলা ও ইন্টার্নশিপ সমন্বয়, ইন্ডোর স্পোর্টস কমপ্লেক্স, জিম ও ক্যাফে নির্মাণ প্রভৃতি।
গ্রিনটেক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ প্রকল্পের কারিগরি সহায়তা, তহবিল সংগ্রহ, অংশীদার সমন্বয় এবং বাস্তবায়ন পরিচালনায় নেতৃত্ব দেবে। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী, CSR অংশীদার ও সামাজিক ব্যবসা সংগঠনগুলোকেও যুক্ত করা হবে। গ্রিনটেক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ইতিমধ্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে যাতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত মডেলের সফল বাস্তবায়ন হয় এবং পরবর্তী সময়ে তা পর্যায়ক্রমে দেশের সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রসারণ করা যায়। এ লক্ষ্যে একটি সমন্বিত জাতীয় প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরির কাজ চলমান রয়েছে।
 
এ প্রসঙ্গে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর বলেন, ‘আমরা আমাদের ক্যাম্পাসকে কেবল একাডেমিক সাফল্যের নয় বরং টেকসই উন্নয়ন ও পরিবেশ সচেতনতার একটি কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এই অংশীদারিত্ব সেই লক্ষ্য পূরণে আমাদের এগিয়ে নেবে। এই চুক্তি কেবল আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নয় বরং বাংলাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্যও অনুকরণীয় মডেল হতে যাচ্ছে। ক্যাম্পাসভিত্তিক জলবায়ু সহনশীলতা, নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার ও পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো বিনির্মাণের মাধ্যমে শিক্ষাখাতের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
 
গ্রিনটেক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক লুৎফর রহমান বলেন, ‘এটি একটি প্রকল্প নয়; এটি বাংলাদেশের ভবিষ্যত পরিকল্পনা। আমরা চাই দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় হোক প্রযুক্তিনির্ভর, জলবায়ু সহনশীল ও পরিবেশবান্ধব।

Comment / Reply From

Vote / Poll

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলা বন্ধ করতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্যোগ যথেষ্ট বলে মনে করেন কি?

View Results
হ্যাঁ
0%
না
0%
মন্তব্য নেই
0%

Archive

Please select a date!