ডার্ক মোড
Tuesday, 01 April 2025
বাংলা
  • English
  • বাংলা
ePaper   
Logo
হাটহাজারী, রাউজানে জমে উঠেছে ঈদ বাজার

হাটহাজারী, রাউজানে জমে উঠেছে ঈদ বাজার

 

জাফর ইকবাল (মুন্না), হাটহাজারী (চট্টগ্রাম)

পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে চট্টগ্রামে হাটহাজারী - রাউজান উপজেলায় জমে উঠেছে ঈদ বাজার। মার্কেট ও শপিং সেন্টারে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।

আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে নানা রঙের নতুন নতুন পোশাকে সেজেছে মার্কেট ও বিভিন্ন শপিং মলগুলো। ঈদ আনন্দ বাড়াতে মার্কেটগুলোতে প্রতিদিনই বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়।

হাটহাজারী মদুনাঘাট, নজুয়ামিয়া হাট রাউজান নোয়াপাড়ার বিভিন্ন শপিংমলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়-পরিবারের সদস্যদের পছন্দসই পোশাক কিনতে বিভিন্ন মার্কেটে ছুটে চলছেন ক্রেতারা। শিশুদের রঙিন রঙিন পোশাকে সেজেছে দোকানগুলো।

এদিকে সামনে গরমকাল থাকায় এ ঈদে সুতি কাপড়ের চাহিদা একটু বেশি বলেই মনে করছেন বিক্রেতারা। ঈদ এলেই নামিদামি ব্র্যান্ডের পোশাকের প্রতি আলাদা আকর্ষণ লক্ষ্য করা যায় ক্রেতাদের মাঝে। এবারই তার ব্যাতিক্রম হয়নি,
ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে নতুন নতুন পোশাক দোকানে তুলেছেন দোকানিরা। কুলসুম প্লাজা ও মদিনা মার্কেটের ব্যবসায়ীরা ডেইলি এক্সপ্রেসকে জানায় , ভারত ও পাকিস্তানি ব্যান্ডের পোশাকের চাহিদা বেশি। পাশাপাশি দেশি পোশাকের ক্রেতাও বেশি। ছেলেদের পছন্দ পাঞ্জাবি, জিন্স প্যান্ট, শার্ট টি-শার্ট।


মদুনাঘাট কুলসুম প্লাজার মার্কেটের ব্যবসায়ী বলেন মেয়েরা বেশি পছন্দ করছেন হিরামান্ডি, ফারসি, সারারা, গারারা, ফার্সিকাট, মুসকাল ও আফগান থ্রি-পিস। অন্যান্য থ্রি-পিসের চেয়ে এসব পোশাকের দাম তুলনামূলক একটু বেশি। তারপরও এদিকে ঝুঁকছেন বিভিন্ন বয়সী মেয়েরা।

শপিং মলগুলোতে আসা ক্রেতারা বলেন, এবারে ঈদে পছন্দের তালিকায় রয়েছে পাকিস্তানি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পোশাক। পাকিস্তানি পোশাকগুলো কমফোর্টেবল। সেজন্য এইবার যতগুলা ড্রেস দেখেছি অধিকাংশ পাকিস্তানি ব্র্যান্ডের।

এদিকে ছেলেদের পোশাকে বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে দেশীয় পোশাক। দেশীয় পোশাকের মধ্যে আলাদা দুর্বলতা কাজ করে বেশিরভাগ ক্রেতাদের।

তবে ভিন্ন চিত্র লক্ষ্য করা গেছে কসমেটিকসের দোকানে। হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলা শপিং কমপ্লেক্সের ব্যবসায়ীরা বলেন, গতবারের চেয়ে এবার কসমেটিকস পণ্যের ক্রেতা কম।

দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ থাকলেও দর কষাকষি করে ক্রেতারা কিনে নিচ্ছেন তাদের পছন্দের পোশাক। ক্রেতাদের অভিযোগ এইবার গতবারের তুলনায় দাম একটু বেশি রাখছেন দোকানিরা। তাদের দাবি ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছেন।

পক্ষান্তরে ব্যবসায়ীরা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলেন, এইবার বিদেশি পোশাক আমদানির ক্ষেত্রে আমাদের অনেক বেগ পেতে হচ্ছে। ফলে আমরা চাইলেও দাম কম রাখতে পারছি না। তবে দেশি পোশাকের দাম ক্রেতার সাধ্যের মধ্যেই আছে।

বড় বড় শপিংমলের পাশাপাশি ভিড় বেড়েছে নগরীর ফুটপাতের দোকানগুলোতেও নিম্ন আয়ের মানুষরা তাদের পছন্দের পোশাক কিনছেন দোকানগুলো থেকে।

এদিকে ঈদ কেনাকাটা নিরাপদ রাখতে পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

হাটহাজারী মদুনাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঈদ এলে অপরাধ চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে। কোনো অপরাধী যেন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে সেজন্য আমরা শপিংমল এলাকাগুলোতে বিশেষ টহলের ব্যবস্থা করেছি। এছাড়াও জনগণকে বিভিন্নভাবে সচেতন করা হচ্ছে যাতে অপরিচিত কারও সঙ্গে পরিচয় না হয় এবং অপরিচিত কেউ কোনো খাবার দিলে যেন গ্রহণ না করে।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন

আপনি ও পছন্দ করতে পারেন