ডার্ক মোড
Friday, 01 November 2024
ePaper   
Logo
সামিয়া রহমানের মামলা সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ

সামিয়া রহমানের মামলা সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ

আদালত প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সামিয়া রহমান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এলেক্স মার্টিন নামে এক বিদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগে মামলার আর্জি করেছেন, তা তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিআইডিকে।

বৃহস্পতিবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন। আদেশে সিআইডিকে আগামী ২০ মের মধ্যে অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

 বুধবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে সামিয়া রহমান নিজেই মামলার আবেদন করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে সামিয়া রহমান এবং ক্রিমোনলজি বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানের বিরুদ্ধে প্লেজারিজমের অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি শিকাগো জার্নালের ইমেইলের ভিত্তিতে সামিয়া রহমানকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সহযোগী অধ্যাপক হতে ডিমোশন দিয়ে সহকারী অধ্যাপক (অবনমিত) করে যে শাস্তির সুপারিশ করা হয় তা মিথ্যা, ভুয়া ও বানোয়াট। শিকাগো জার্নাল থেকে অফিশিয়ালি সামিয়া রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে কোনো ইমেইল কখনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেইলে পাঠানো হয়নি। এলেক্স মার্টিন বলে শিকাগো জার্নালে কেউ কখনো কাজ করেনি। এমনকি শিকাগো প্রেসেও এলেক্স মার্টিন বলে কোনো ব্যক্তি নেই। সামিয়া রহমান তার ফেসবুক আইডির মাধ্যমে শিকাগো জার্নালের অফিশিয়াল এডিটর ক্রেইজ ওয়াকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে অভিযুক্তের তথ্যের সত্যতা সম্পর্কে জানতে চান।

ক্রেইজ ওয়াকার জানিয়েছেন, এলেক্স মার্টিন বলে কেউ কখনো শিকাগো জার্নালে ছিল না, কেউ নেই। এখন পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেই মেইলের কোনো সফট কপি সামিয়া রহমানকে দেয়নি। মিথ্যা ও বানোয়াট মেইল আইডির ওপর ভিত্তি করেই সামিয়া রহমানকে ‘চৌর্যবৃত্তির’ মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। সামিয়া রহমানের অভিযোগ, বিবাদীরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রতারণা করে তার নামে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার এবং প্রকাশ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপরাধ করেছে।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন