সমন্বিত ব্যবস্থার মাধ্যমেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব
নিজস্ব প্রতিনিধি
দেশে গত বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে। এ বছর ডেঙ্গু পরিস্থিতি গত বছরের চেয়ে খারাপ হওয়ার আশঙ্কা আছে। এখন থেকেই যদি জোরালো ও সমন্বিত পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে ভবিষ্যতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও মারাত্মক আকার ধারণ করবে।
রবিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) ও বারসিক আয়োজিত ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধান ও করণীয় নির্ধারণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
সভায় পবার সহসভাপতি হাফিজুর রহমান ময়নার সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের নির্বাহী সভাপতি জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী।
ধারণাপত্রে ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, ২০০০ সাল থেকে এদেশে ডেঙ্গুজ্বরের প্রকোপ লক্ষণীয়। ২০০০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ডেঙ্গু ঢাকাসহ মাত্র কয়েকটি বড় শহরে সীমাবদ্ধ ছিল। সেসময় কেবলমাত্র আবাসিক ভবনে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা ছিল। এই ১৯ বছরে ডেঙ্গুজ্বরকে কেন নিয়ন্ত্রণ করা গেল না? সেসময় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ তুলনামূলকভাবে সহজ ছিল। তখন প্রধান কাজ ছিল। কিন্তু দুঃখজনক সত্য হচ্ছে, সেসময়ে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য সুসমন্বিত কার্যকর কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, তখন দরকার ছিল মশা নিয়ন্ত্রণের কাজটি সারা বছর জারি রাখা। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল ডেঙ্গুর আক্রমণ শুরু হওয়ার পরই কেবল মশা মারার তোড়জোড় শুরু হয়। ডেঙ্গু রোগী কমতে শুরু করলেই কর্র্তৃপক্ষের মশকনিধন অভিযানে ভাটার টান দেখা দেয়। ফলে দিন দিন এডিস মশার উৎপাদন বাড়তে থাকে।