রাহুমুক্ত হচ্ছে গণপূর্ত অধিদপ্তর
নিজস্ব প্রতিবেদক
ঘুরে দাড়াচ্ছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। দুর্নীতির আখড়া হিসেবে খাত সরকারি নির্মাণকারী এই প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত সম্ভব হয়েছে প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতারের সততা ও দক্ষতার সফল নেতৃত্বে। সরকারের হাজার কোটি টাকার অপচয় বন্ধ হয়েছে। আর এতে একাধিক দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটের পড়েছে মাথায় হাত।
গোয়েবলীয় স্টাইলে মিথ্যা বানোয়াট ও মনগড়া অপপ্রচার চালাচ্ছে সংঘবন্ধ সিন্ডিকেট চক্র। আর এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে গণপূর্তের কতিপয় দুর্নীতিবাজ স্বার্থান্বেষী প্রকৌশলী ও কর্মকর্তা। সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে এসব অপপ্রচার চালিয়ে উন্নয়ন কাজকে বাধাগ্রস্থ করার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি প্রধান প্রকৌশলীসহ দক্ষ ও সৎ প্রকৌশলী এবং কর্মকর্তাদের মনোবল ভেঙ্গে গতিশীলতাকে থামাতে নানামুখী ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। গণপূর্তের প্রকৌশলী, ঠিকাদার ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গণপূর্ত অধিদপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসে ঘুষ দিলে মিলতো ঠিকাদারী কাজ। কাজ ঠিকমত না করেই ম্যানেজ করে বিল তুলে পকেট ভারী করতো সিন্ডিকেট ঠিকাদারী ও প্রকৌশলী চক্র। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কাজ না করেই ভূয়া বিল তোলারও নজির রয়েছে। এমন ভুরিভুরি দুর্নীতির অভিযোগ ছিল এই প্রতিষ্ঠানের। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণপূর্ত অধিদপ্তরে দুর্নীতি ঠেকাতে একজন সৎ, দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতারকে বেছে নেন।
২০২০ সালের মধ্যে ডিসেম্বরে এই সৎ ও দক্ষ প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে মোহাম্মদ শামীম আখতার দায়িত্ব গ্রহণ করায় সিন্ডিকেট চক্রের ঘুম হারাম হয়ে যায়। শুরু থেকে একশ্রেণির দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে সংঘবদ্ধ চক্র প্রধান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অপপ্রচার চালাতে থাকে। এতে দমে যাননি প্রধান প্রকৌশলীসহ তার নেতৃত্বে প্রকৌশলী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। সব ধরনের মিথ্যা ও বানোয়াট অপপ্রচার উপেক্ষা করে গণপূর্তের ভাবমূর্তি উদ্ধারে দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করছেন। তাদের সফল কার্যক্রমে একদিকে যেমন দুর্নীতি ও অনিয়ম রোধ হয়েছে, তেমনি গতিশীলতার পাশাপাশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে।
জানা গেছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি বাস্তবায়ন করতে প্রধান প্রকৌশলী ও তার টিমকে নানামূখী ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। বর্তমান সরকারের স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অন্যতম গণপূর্ত অধিদপ্তরের সৎ ও দক্ষ প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতারকে সকল বাধা ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে ২৮ টি মন্ত্রণালয়ের কাজ সুষ্ঠুভাবে চলছে। গণপূর্ত অধিদপ্তরের সকল কার্যক্রম ডিজিটালাইড করে অপচয় ও দুর্নীতি বন্ধের প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন এই প্রধান প্রকৌশলী
গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার তার উদ্ভাবনী উদ্যোগ ও আন্তরিক প্রচেষ্টায় বদলে দিয়েছেন সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটির নেতিবাচক ভাবমূর্তি। এর ফলে সরকারি নির্মাণকাজ ঘিরে দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম থেমে গেছে। নির্মাণ কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে। সরকারি অসংখ্য প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনার নির্মাণ কাজের যথাযথ মান নিশ্চিত করা যাচ্ছে এবং সরকারি অর্থের অপচয় রোধ করা সম্ভব হয়েছে।
এসব কারণে একাধিক সংঘবদ্ধ চক্র গুরুত্বপূর্ণ এই সরকারি প্রতিষ্ঠান ও এর প্রধান প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির কিছু স্বার্থান্বেষী কর্মকর্তা। তারা গণপূর্ত অধিদপ্তরের বর্তমান স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তছনছ করে আগের স্বেচ্ছাচারি অবস্থায় ফিরে যেতে চায়। আবার একটি স্বার্থান্বেষী সিন্ডিকেট চাইছে প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতারকে অন্যত্র সরিয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের শীর্ষ পদটি দখলে নিতে। বিপুল পরিমান অর্থ হাতে নিয়ে মাঠে নেমেছে এই চক্র ফলে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অন্যতম প্রতিষ্ঠান গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতারকে এখন ঘরে-বাইরে নানা ষড়যন্ত্র প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে গণপূর্ত অধিদপ্তরের নেতৃত্ব দিতে হচ্ছে।
সরকারি স্থাপনা নির্মাণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়ছে সরকারি নির্মাণ কাজের দীর্ঘসূত্রতা অনেক। অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রকল্পের প্রস্তাবনা (ডিপিপি) অনুমোদনের পর প্রাক্কলন প্রণয়নে ও দরপত্র আহŸানে দেরি হয়। ফলে প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়ও দীর্ঘায়িত হয়। মূলত প্রকল্পের নির্ধারিত জমি বুঝে পাওয়া এবং সে অনুসারে স্থাপত্য ও কাঠামো নকশা তৈরিতে দেরির ফলে প্রাক্কলন প্রণয়ন ও দরপত্র আহŸানে বিলম্ব হয়।
এই সমস্যা সমাধাণের লক্ষ্যে প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতারের নির্দেশনায় অনলাইন প্রজেক্ট মনিটরিং সিষ্টেম ও এস্টিমেটিং সফটওয়্যার ডেভেলপ করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকল্পের স্থাপত্য নকশা কাঠামো ও নকশা ও ফিনিশিং শিডিউল প্রণয়নের জন্য প্রকল্প ভেদে সময় নির্দিষ্ট করে দেয়া হবে এবং কেন্দ্রীয়ভাবে তত্ত¡াবধান করা হবে। জমি বুঝে পাওয়া অনুমোদিত নকশা প্রাপ্তির জটিলতা নিরসনে অনলাইনে প্রজেক্ট মনিটরিং সিস্টেমের মাধ্যমে প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে সমস্যা চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী দ্রত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এস্টিমেটিং সফটওয়্যারটির মাধ্যমে দ্রæততম সময়ে নির্ভূলভাবে প্রাক্কলন প্রণয়ন ও অনুমোদন করা সম্ভব হবে। এর ফলে দরপত্র আহŸানের ক্ষেত্রে জটিলতা নিরসন হবে। সরকারি নির্মাণ কাজের দরপত্র কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, অনিয়ম রোধ এবং গতিশীলতা আনতে ইতোমধ্যে প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্বে প্রকিউরমেন্ট সেল গঠিত হয়েছে। দরপত্র অনুমোদন প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হচ্ছে কি না, প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরের ইজিপি সার্ভার থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তা মনিটর করা হচ্ছে। এর ফলে দরপত্র অনুমোদন প্রক্রিয়া দ্রæততর হয়েছে।