ডার্ক মোড
Monday, 10 March 2025
ePaper   
Logo
রাতেই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিতে পারেন কাতারের আমির

রাতেই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিতে পারেন কাতারের আমির

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা বেশ তীব্র হয়েছে। কাতারের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংবাদমাধ্যম কিউএনএ জানিয়েছে, দেশটির আমির মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল-থানি বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করবেন। অপর সংবাদমাধ্যম আল আরাবি আল-জাদেদ জানিয়েছে, আল-থানি হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিতে পারেন।

আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে জানান, হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এ ঘোষণা আসবে।

হামাসের নেতা খলিল আল-হায়া সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে জানিয়েছেন, তারা চুক্তিতে সমর্থন জানিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার ও মিসরের কাছে হস্তান্তর করেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিও জানিয়েছে, হামাসের নেতারা চুক্তির অনুমোদন দিয়েছেন।

তবে দখলদার ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা জানান, হামাস শেষ মুহূর্তে নতুন শর্ত দিয়েছে। তারা বলেছে গাজা মিসর সীমান্তবর্তী ফিলাডেলফি করিডর থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সরে যেতে হবে। যদিও খসড়া চুক্তিতে বলা হয়েছে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে ইসরায়েলি সেনারা সেখানেই অবস্থান করবে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে দুই পক্ষ রাজি হলে এটি অনুমোদনের জন্য ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় যাবে। সেখানে ভোটাভুটি হবে। আর এই ভোটাভুটিতে অংশ নিতে ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিয়ন সার ইউরোপ সফর সংক্ষিপ্ত করে ইসরায়েলে চলে আসছেন। সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, কাল বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি মন্ত্রিসভায় এ নিয়ে ভোটাভুটি হতে পারে। যা সহজেই অনুমোদন পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে জানতে পেরে অনেকটা উচ্ছ্বশিত হয়েছেন গাজাবাসী। এরমধ্যে সেখানকার মানুষকে সতর্কতা দিয়েছে ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স। তারা বলেছে, যুদ্ধবিরতির জোর সম্ভানা রয়েছে। কিন্তু গাজার যেসব জায়গায় ইসরায়েলি সেনারা অবস্থান করছে আপাতত তারা যেন সেখানে না যান। বিবৃতিতে সংস্থাটি সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেছে, “গাজায় আমাদের প্রিয় ফিলিস্তিনিদের প্রতি অনুরোধ, নিজেদের নিরাপত্তার জন্য, আপনাদের আমরা সতর্কতা দিচ্ছি যেখানে দখলদার সেনারা আছেন সেখানে যাবেন না।”

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন