
বামনায় মানববন্ধন: অপহৃত বেল্লালকে জীবিত ফেরতের দাবি
বামনা ( বরগুনা) প্রতিনিধি
বরগুনার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়নের গুদিঘাটা গ্রামের ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বেল্লাল হোসেন(২৫)কে চট্টগ্রামের আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মঈনুল আরবী বিশ্ববিদ্যালয়, হাটহাজারী থেকে অপহরণ করার ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। এর প্রতিবাদে বেল্লালকে জীবিত ফেরত পাওয়ার জন্য এলাকাবাসীর মানববন্ধন।
গত ৯ মাস আগে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ থেকে বেল্লালকে অপহরণ করা হলেও প্রশাসন এখনো তার সন্ধান দিতে পারেনি। প্রশাসনিক গাফিলতির প্রতিবাদ এবং বেল্লালকে সুস্থ ও জীবিত ফেরত পাওয়ার দাবিতে আজ ডৌয়াতলায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।বেল্লাল হোসেনের বাবা আমির হোসেন খন্দকার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমার ছেলে কোনো অপরাধ করেনি। অত্যন্ত ভদ্র ও নম্র স্বভাবের ছেলে ছিল। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তো, কারও সাথে কোনো ঝামেলায় জড়াতো না। আজ ৯ মাস হয়ে গেল, তার কোনো খোঁজ নেই। আমি প্রধান উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে আমার সন্তানের সুস্থ, স্বাভাবিক এবং জীবিত ফেরতের দাবি জানাই।”মানববন্ধনে অংশ নিয়ে এলাকার মানুষও একবাক্যে বেল্লালের জন্য ন্যায়বিচারের দাবি তুলেছে।বেল্লালের ভাই সমান খন্দকার মানববন্ধনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, “আমার ভাই অত্যন্ত শান্ত স্বভাবের ছিল। সে চট্টগ্রাম হাটহাজারী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে সুনামের সাথে পড়াশোনা করছিল। কিন্তু একটি কুচক্রী মহল তাকে অপহরণ করেছে। আমরা এখনো জানিনা সে কোথায় আছে, কেমন আছে।” তিনি প্রশাসনের প্রতি অবিলম্বে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানান।মানববন্ধন এর বক্তৃতা কালে হলতা ডৌয়াতলা ওয়াজেদ আলী খান ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ সফিকুল ইসলাম বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে বেল্লালকে চিনি। সে অত্যন্ত ভদ্র স্বভাবের ছিল। তার নিখোঁজ হওয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক এবং রহস্যজনক। আমরা চাই প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে বেল্লালকে ফেরত নিয়ে আসুক।”হলতা ডৌয়াতলা সমবায় বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ কামাল হোসেন তালুকদার বলেন, “বেল্লাল ছিল খুবই ভালো মনের ছেলে। তার অপহরণে আমরা গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি। আমরা সবাই একযোগে প্রধান উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহোদয়ের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, যেন বেল্লালকে দ্রুত জীবিত ও সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়।”বক্তারা বলেন, বেল্লাল হোসেনের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় মাদ্রাসার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মূল রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে তারা বিশ্বাস করেন।আরো জানা গেছে, বেল্লালের বাবা আমির হোসেন খন্দকার চট্টগ্রাম চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় রেজাউল ইসলাম সিফাতউল্লাহ, তরিকুল ইসলাম, ক্বারী মোহাম্মদ কাসেমসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।বেল্লালের পরিবার প্রধান উপদেষ্টা এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন
আপনি ও পছন্দ করতে পারেন
সর্বশেষ
জনপ্রিয়
আর্কাইভ!
অনুগ্রহ করে একটি তারিখ নির্বাচন করুন!
দাখিল করুন