ডার্ক মোড
Tuesday, 29 April 2025
ePaper   
Logo
দেশের বৃহত্তর স্বার্থে যাদেরকে এক প্ল্যাটফর্মে দেখতে চায় ঐক্য পার্টি

দেশের বৃহত্তর স্বার্থে যাদেরকে এক প্ল্যাটফর্মে দেখতে চায় ঐক্য পার্টি

 নিজ্বস প্রতিবেদক
 



প্রিয় মাতৃভূমিকে হিংসা, বিদ্বেষ ও হানাহানি থেকে মুক্ত রেখে সকল মত পার্থক্য অক্ষুণ্ণ রেখে সর্বজনীন বিষয়ে ঐক্য গড়ে উন্নত দেশে রূপান্তরের লক্ষ্য নিয়ে ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ সালে বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি গঠিত হয়। প্রিয় মাতৃভূমিকে উন্নত দেশে রূপান্তরে ঐক্যের বিকল্প নেই। ঐক্য গড়তে হলে সবার জন্য প্রযোজ্য এরকম বিষয় নিয়ে না আগালে ঐক্য সম্ভব হবেনা বুঝতে পেরে ঐক্য পার্টি সর্বজনীন বিষয়গুলো সামনে এনে কাজ করতে থাকে। ঐক্য পার্টি'র প্রথম ১০টি সভা ১০ জন ভিন্ন মত, ধর্ম ও দলের ব্যক্তির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
আত্মপ্রকাশের জন্য কমিটি গঠন অপরিহার্য হওয়ায় ১১তম সভায় ভোটাভুটির মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচন করা হয়। ভোটাভুটির মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হলেও সভায় উপস্থিত সবার সম্মতিতে ভোটাভুটির কথা উল্লেখ না করে "সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি/ আহবায়ক নির্বাচন করা হয়" -এরকম রেজুলেশনে লিখা হয়। উল্লেখ্য যে, পূর্বে সভাপতি না থাকায় ১০ জন ভিন্ন মত ও ধর্মের ব্যক্তি সভাপতিত্ব করার সুযোগ পেয়েছিলেন।

বাংলাদেশে কোনো দল প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে (ঐক্য পার্টি'র মতো) সর্বজনীনতা নিয়ে শুরু হয়েছে -এরকম নজীর নেই। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি অনন্য নজীর স্থাপন করেছে। দলটি নানা মতের ব্যক্তিদের ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন কার্যকর কৌশল নিয়ে আগাচ্ছে। ঐক্য বাধাগ্রস্ত হওয়ার খারাপ দিকগুলো এড়ানোর জন্য দলটিতে কার্যকর ব্যবস্থা রয়েছে।

নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা দেখা দিলে দলটি প্রথম ও শেষ বারের মতো একবার নির্বাচনে যাবে। দেশে টেকসই স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে দলটি তার যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত করে দেবে। তাই দলটির কর্তাব্যক্তিরা প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে বলে আসছে "বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি একটি সাময়িক রাজনৈতিক  দল। দেশবাসী নানা গ্রুপে বিভক্ত হয়ে মুখোমুখি অবস্থান না নিলে ঐক্য পার্টি সৃষ্টির প্রয়োজন হতোনা এবং মুখোমুখি অবস্থান কেটে গিয়ে রাজনৈতিক সহ-অবস্থান সৃষ্টি হলে ঐক্য পার্টি আর থাকার দরকার নেই। "

বাংলাদেশ ঐক্য পার্টির কার্যক্রমে ভিন্নতা, নতুনত্ব ও আমূল সংস্কার লক্ষ্য করা যায়। অপসংস্কৃতির পরিবর্তন করে প্রিয় মাতৃভূমিকে তারা উন্নত দেশে রূপান্তরে বদ্ধপরিকর।

নিজস্ব গোষ্ঠী সৃষ্টি করে আগালে, ক্ষমতায় গেলে গোষ্ঠীতন্ত্র কায়েম করতে হয়। আর এই সমস্যা এড়াতে তারা ভিন্ন মতের ব্যক্তিদের সাময়িক সময়ের জন্য তাদের দলে অন্তর্ভুক্ত করতে ১৮/০৪/২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার দলটির কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় একটি রেজুলেশন করে। রেজুলেশন এর ২য় সিদ্ধান্ত নিম্নে তুলে ধরা হল:

বাংলাদেশের সবাইকে ঐক্য পার্টিতে সম্পৃক্ত করার জন্য আমরা চার বছর ধরে চেষ্টা চালিয়ে আসছি। দেশের জনগণ তথা আমরা ভাইরাল ব্যক্তিদের গুরুত্ব দিয়ে থাকি। ভাইরাল হলেও ভিতরে যথাযথ উপাদান না থাকলে কিংবা ভাইরালকে চেক এন্ড ব্যালেন্স করার ব্যবস্থা না থাকলে ভাইরালরাই স্বেচ্ছাচারী হয়ে যায়। অতীতে ক্ষমতায় গিয়ে সবাই বেশ আর কম স্বেচ্ছাচারী হয়ে গিয়েছিল। এই অবস্থা উত্তরণে বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি'র ১৫ দফা কর্মসূচীর ১ম দফা দলের কেন্দ্রীয় চরিত্রকে চেক এন্ড ব্যালেন্স করার কর্মসূচী। একক কোনো নেতাকে প্রাধান্য না দিয়ে সামষ্টিক সিদ্ধান্তে দলকে পরিচালিত করবে ঐক্য পার্টি। নেতাকে নয়, নীতিকে সর্বোচ্চ নেতার আসনে স্থান দিয়ে নীতিকেই পীর মানতে বদ্ধপরিকর ঐক্য পার্টি।

অপসংস্কৃতিকে এড়িয়ে দেশকে বদলে দিতে চায় ঐক্য পার্টি।  অপসংস্কৃতিকে পরিবর্তন করতে চাইলে দেশে বর্তমানে প্রচলিত যে ধারা রয়েছে, সে ধারাকে অনুসরণ করে যদি আমরা আগাই, তাহলে আমরাও প্রচলিত দলগুলোর মতো বেশ আর কম দলকানা হয়ে যেতে বাধ্য হবো তাই উত্তরণে নিম্নোক্ত শ্রেণির ব্যক্তিদের বাংলাদেশ ঐক্য পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে সম্পৃক্ত করার বিকল্প না থাকায় তাদের সাথে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে যোগাযোগ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, শায়খ আহমাদুল্লাহ, ইউসুফ আহমদ মানসুর, জেনারেল (অব.) ইকবাল করিম ভূঁইয়া, ইলিয়াস কাঞ্চন, ইলিয়াস হোসাইন, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, উমামা ফাতেমা, ড. কনক সরওয়ার, খালেদ মুহিউদ্দীন, এডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, ড. জিন বোধি ভিক্ষু, ডা. জাহেদ উর রহমান, জাহিদুল ইসলাম, জয়নুল আবেদীন ফারুক, তারেক রহমান, নাঈম ইসলাম, নকুল কুমার বিশ্বাস, নিপুন রায় চৌধুরী, ডা. পিনাকী ভট্টাচার্য, প্রিসিলা ফাতেমা, ড. ফয়জুল হক, মুশফিকুর রহিম, মাহবুব কবির মিলন, ড. রেজা কিবরিয়া, শফিকুল ইসলাম মাসুদ, এডভোকেট সাহেদ রিজভী, সাইফুর রহমান সাগর, সাইফুল হক, সাদিক কাইয়েম, সানজিদা চৌধুরী, সেলিনা হায়াৎ আইভী, সোহেল তাজ (বিডিআর হত্যাকান্ডে জড়িত না থাকলে), হাসনাত আবদুল্লাহ, হাসান মামুন প্রমুখ।

বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে সর্বজনীনতার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের সব দলকে সাময়িক রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি সাময়িক সময়ের জন্য ঐক্য পার্টি'র অন্তর্ভুক্ত বলে মনে করে। দেশের সব দলের মধ্যে কিংবা দলের বাইরে যেখানেই মেধা থাকুক না কেনো, সব মেধাকে দল, মত, ধর্মের উর্দ্ধে উঠে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে কাজে লাগাতে বদ্ধপরিকর ঐক্য পার্টি। বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি'র সর্বজনীন ফর্মূলার আলোকে সেসব মেধাগুলো কাজ করতে সম্মত হলে তাদেরকে নীতিনির্ধারণী বোর্ডে রাখাসহ নেতৃত্বের সর্বোচ্চ আসন কেউ প্রাপ্য হলে তা তাঁকে দিতে কার্পণ্য দেখাবেনা ঐক্য পার্টি। এখানে যাদের নাম উল্লেখ করা হলো তারা নির্দিষ্ট কোনো গোষ্ঠীর কাছে জনপ্রিয় এবং অন্য পক্ষের কাছে চরম অজনপ্রিয় হলেও ঐক্য পার্টিতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে দলটির দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে  আচরণ করলে অবশ্যই তারা সর্বজনীন জনপ্রিয় হয়ে উঠবেন। উল্লেখ্য যে, এখানে যাদের নাম উল্লেখ করা হলো তার বাইরেও আমাদের অজানা অনেকে রয়েছেন। জানা সাপেক্ষে তাঁদেরকেও অন্তর্ভুক্ত করার জন্য চেষ্টা করা হবে।
 
 
 

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন

আপনি ও পছন্দ করতে পারেন