
পত্নীতলায় সূর্যের প্রখরতা আর ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন!
ইখতিয়ার উদ্দীন আজাদ, পত্নীতলা (নওগাঁ)
নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় প্রখর রোদ আর ভ্যাপসা গরমে জন জীবন অতিষ্ঠ। প্রচন্ড গরমে মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা।
গরম থেকে একটু স্বস্তি পেতে মানুষ ছুটছেন গাছের ছায়ায়। আবার অনেকে ঠাণ্ডা পানীয় ও আইসক্রিম খেয়ে স্বস্তি পাওয়ার চেষ্টা করছেন।
এদিন উপজেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত।
শনিবার (১০ মে) দুপুরে উপজেলা সদর নজিপুর পৌর এলাকার রাস্তাঘাটে দেখা যায়, গরমের চোটে মানুষের হাঁসফাঁসের চিত্র। এ সময় অনেকে ঘাম ঝরা দেহ নিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন।
গত ৩ দিন ধরে দিনের বেলায় কাঠফাটা রোদ। আর এই রোদে পুড়ছে কৃষকের মাঠঘাট। বাসা-বাড়ি ও পথঘাটের প্রচণ্ড তাপ, কোথাও স্বস্তি নেই। ফলে বেড়েছে দাবদাহ।
অসহনীয় গরমে মানুষের মাঝে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এর প্রভাবে সকল শ্রেণি পেশার মানুষ কোনো কাজই ঠিকমতো করতে পারছে না। অফিস-আদালতের কর্মজীবীদেরও ওষ্ঠাগত অবস্থা।
তীব্র গরমে তারা ঠিকমতো কাজকর্ম করতে পারছে না।
বিশেষ করে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। কাঠফাঁটা রোদ আর অসহনীয় গরমে কৃষক মাঠে কাজ করতে পারছে না। সেই সঙ্গে সিএনজি, আটোরিকশা ও ভ্যান চালকদেরও একই অবস্থায়।
অনেকে জীবিকার তাগিদে বাড়ি থেকে বের হলেও রোদ-ভ্যাপসা গরমে অস্থির হয়ে উঠছেন। বাধ্য হয়ে তারা ফিরছেন বাড়িতে। এর ফলে শ্রমজীবী মানুষের জীবনযাত্রা ব্যহত হচ্ছে।
নজিপুর পৌর এলাকার বাসিন্দা চার্জার-ভ্যান চালক আব্দুস ছালাম জানান, 'যে গরম পড়ছে! যাত্রীও নাই তার মধ্যে রোদ! কামাই রোজগারও কম। খুব খারাপ অবস্থায় আছি।'
ঘোষনগর ইউনিয়নের দিঘীপাড়া গ্রামের চাষী তরিকুল ইসলাম শাওন জানান, ভাইরে গরমের কারণে বাইরে যেতে পারছি না! কাম না করলে খামো কি। এই গরম যে কতদিন থাকবে আল্লাহ জানে!
মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন
আপনি ও পছন্দ করতে পারেন
সর্বশেষ
জনপ্রিয়
আর্কাইভ!
অনুগ্রহ করে একটি তারিখ নির্বাচন করুন!
দাখিল করুন