ডার্ক মোড
Saturday, 02 November 2024
ePaper   
Logo
পটুয়াখালীতে কম্পোস্ট সার উৎপাদন

পটুয়াখালীতে কম্পোস্ট সার উৎপাদন

পটুয়াখালী প্রতিনিধি

গোবর দিয়ে মুটিয়া, ঘৈইডা ও চটা তৈরী করে শুখিয়ে জ¦ালানী হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে বহুকাল ধরে জৈব সার বিষয়ে খাতা কলমে হিসেব বেশি দিনের নয় এরই মধ্যে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় ভার্মি কম্পোষ্ট সার উৎপাদন করছে সানকিপুর ইউনিয়নের গোপাল ভূপতি।

জানা যায়, একটি বেসরকারি এনজিও ভার্মি কম্পোস্ট বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয় গোপাল ভূপতি ও তার স্ত্রী শ্রীমতি রানীকে। ভার্মি কম্পোষ্ট সার তৈরির ফর্মুলা তাকে উজ্জীবিত করলো। প্রথমে মাত্র ১০টি রিং ও ৫টি ¯øাব দিযে গড়ে তুললো ভার্মি কম্পোষ্ট সার প্রকল্প। নিজেরাই কেঁচো উৎপাদন করে ছায়ায় শুখানো গোবরে ছেড়ে দিয়ে ২ মাসের মধ্যে উৎপাদনে চলে আসে। বাড়ি থেকে ভার্মি কেজি ১৫ টাকা দরে বিক্রি করে গোপাল ভূপতি। এছাড়াও ভার্মি কম্পোস্ট উদপাদনকারীদের কাছে প্রতি পিচ কেঁচো ২টাকা দরে বিক্রি করেন ।

কৃষি স¤প্রসারণ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনই আমাদের বাড়িঘর, হাট-বাজার এমনকি পথঘাটে ময়লা আবর্জনা সৃস্টি হয়। সঙ্গে গরুর গোবর, হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা, খাবারের উচ্ছিষ্ট, পরিত্যক্ত কলা গাছ, কচুরিপানাসহ আরো কত-কি আমরা যেখানে সেখানে ফেলে দেই। তাতে পরিবেশ যেমন নোংরা হয়, তেমনি হারাই একটি উৎকৃষ্ট সার প্রস্তুতের সুযোগ ও বানিজ্যিক সম্ভাবনা। এসব পচনশীল জৈব উপাদান দিয়ে কম্পোস্ট তৈরি করা যায়। কম্পোস্ট সারেই গাছের জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক ১৭টি উপাদানের মধ্যে অন্তত ১২টি উপাদান বিদ্যমান বিদ্যমান থাকে।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আতিকুল ইসলাম জানায়, উপজেলায় ৩৯টি গাভীর খামার রয়েছে। এসব খামারীরা ভার্মি কম্পোস্ট উপাদনে আসলে বেশি মুনাফা অর্জন করতে পারতো।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন