নারীদের বাদ দিয়ে জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব নয় : তাজুল ইসলাম
নিজস্ব প্রতিনিধি
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নারীদের সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীদের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। ব
র্তমানে জাতীয় সংসদের স্পিকার, হাইকোর্টের বিচারপতি, জেলা প্রশাসক, এসপি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীরা দক্ষতার সাথে তাদের সক্ষমতার পরিচয় দিয়ে চলেছেন। জাতির পিতা এবং তার সুযোগ্য কন্যা নারীদের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরেছেন কারণ নারীদের বাদ দিয়ে জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের চিন্তা মূর্খতার শামিল।
শুক্রবার (৮ মার্চ) আগারগাঁও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে শ্রেষ্ঠ আত্মনির্ভরশীল নারী সম্মাননা প্রদান ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘পুরুষ একসময় পেশিশক্তি বা গায়ের জোর দিয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করলেও তথ্য-প্রযুক্তি ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের এই যুগে পেশিশক্তি আর কাজ করে না। এখন জ্ঞান ও বুদ্ধিতে স্মার্ট যে কেউ তার শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারে যে কারণে নারীরা শিক্ষা-দীক্ষায় এগিয়ে চলেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নারীদের চাকরির বেশি সুযোগ দেওয়া হয়েছে। গ্রামের নির্যাতিত নারীদের রক্ষা করার জন্য নারী সংরক্ষিত পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এ ছাড়া সংসদেও নারীদের প্রতিনিধিত্ব রাখতে সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্যদের সুযোগ রাখা হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ শের আলী এবং সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আলী আখতার হোসেন।
এদিকে, আজ সন্ধ্যায় বেসরকারি সংস্থা ‘চেষ্টা’র উদ্যোগে পাঁচজন বীর কন্যার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার জন্য ধীরে ধীরে আমাদের জাতিকে প্রস্তুত করেছেন।
সেই সংগ্রামে নারী ও পুরুষ সমানভাবে অংশগ্রহণ করেছিল বলেই আমাদের স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব হয়েছে।’ মন্ত্রী বলেন, “মহান মুক্তিযুদ্ধে অনেক ত্যাগের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। বিশেষ করে যেসব নারীরা পাকিস্তানি হানাদার ও দখলদার বাহিনীর দ্বারা নিজেদের সম্ভ্রম হারিয়েছেন বেসরকারি সংস্থা ‘চেষ্টা’র তাদের স্বীকৃতি ও সহযোগিতার উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।”