
দুদকের উপ-পরিচালক মাহবুবের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই : মামলার ভয় দেখিয়ে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
দুর্নীতি দমন কমিশন( দুদক) এর উপ-পরিচালক মাহবুব আলম এর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম- দুর্নীতি ও ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে যা তদন্ত হওয়া জরুরী।
অভিযোগ রয়েছে, সোনালী ব্যাংক মহাখালী ব্রাঞ্চের কয়েকটি লকারে ৩০-৪০ কোটি টাকা, স্বর্ন জমা আছে মাহবুবের।
জামালপুরের সরিষাবাড়িতে রয়েছে শতশত বিগা সম্পত্তি । ওই এলাকায় মাহবুব ছাড়া কেউ কোন জমি ক্রয়- বিক্রয় করতে পারেনা। এলাকায় প্রচলিত দুদকের চেয়ারম্যানের চেয়েও ক্ষমতা বেশি মাহবুবের।
তাছাড়া, আইডিয়াল স্কুলের সাবেক অধ্যাক্ষ সাহানা বেগম ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা আতিকের কাছ থেকে ৪-৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ মাহবুবের বিরুদ্ধে। তাদের বিরুদ্ধে ৪-৫ বছর যাবত শুধু তদন্তের নামে দায় মুক্তির নামে এই টাকা হাতিয়ে নেয় চতুর মাহবুব। এসেনশিয়াল ড্রাগের এমডি অধ্যাপক এহসানুক কবিরের কাছ থেকে ১০ কোটি টাকা নেয়ার অভিযোগ আছে। এসেনশিয়াল ড্রাগের এমডির পিএস মনিরের সহযোগিতায় ৫০জন লোক নিয়োগ দিয়ে ৫ কোটি টাকা আদায়ের অভিযোগ।
জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাদু খার ফান্ড কালেক্টর মোহাম্মদ আনোয়ার শিকদরের বিরুদ্ধে ৯০০০ কোটি টাকার প্রকল্পের দুনীতির অভিযোগ তদন্তে জামালপুরের জনস্বাস্থ্য বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশল এর মাধ্যমে বিরাট অংকের টাকা ঘুষ গ্রহণ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
মাহাবুব দুদুকে প্রথমে চাকরি শুরু করেছিল পিয়ন হিসেবে পরবর্তীতে বিভিন্ন অনিয়ম- দুর্নীতির মাধ্যমে তার মামা দুদকের সাবেক উপ-পরিচালক আবু বকর সিদ্দিককে কাজে লাগিয়ে দুদকে প্রমোশন নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
চাকুরী জীবনে শুরু থোকে এখন পযর্ন্ত দুূুদক প্রধান কার্যালয় বাইরে চাকুরী করতে হয়নি দুর্নীতিবাজ মাহবুবকে । উধ্বতন কর্মকর্তাদের বড় অংকের টাকা দিয়ে বড়বড় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিজেই নিয়োগ পেতে টাকা লগ্নি করেন মাহবুব। তদন্তের দায়িত্ব নেয়ার পর ঐ সকল ব্যাক্তিদের হয়রানি, ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায়ের নানা অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। গুলশান, জোয়ার শাহারা, বসুন্ধরা আবাসিক, ডেমরা এলাকায় দেড়শ কোটি টাকার জমি সন্ধান পাওয়া গেছে। ঢাকার নন্দীপাড়ায় রয়েছে তিন বিগার উপর 'হেরেম খানা '। যেখানে চলে তার রঙ-লীলা। আশুলিয়ায় গনকবাড়ী এলাকায় তার বিশাল সম্পত্তি আছে। তার জমির মালিকানা সংক্রান্ত তথ্য এই প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে।
এই মাহবুব মহামান্য রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন শাহাবুদ্দিন চুপ্পুর নাম ব্যবহার করে ও তার প্রভাব দেখিয়ে ইতিপূর্বে অনেক অপকর্ম ধামাচাপ দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, দুদকের সাবেক প্রভাবশালী উপ-পরিচালক আবু বক্কর সিদ্দিক এর ভাইগ্না হচ্ছেন এই মাহবুব। আবু বক্কর দুদকে 'জিনের বাদশা' হিসেবে পরিচিত ছিল । এজন্য তিনি দুদুকে 'ভাইগ্না মাহবুব ' হিসেবে পরিচিত।
অভিযোগের বিষয়ে তার বক্তব্য জানতে চেয়ে তার হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে বার্তা দেয়া হলেও তিনি কোন জবাব দেননি।