ডার্ক মোড
Saturday, 11 October 2025
ePaper   
Logo
থানা ভবনে পিকনিক ‘পুলিশ এখন বানরের মতো’ বললেন পরিদর্শক হাবিবুল্লাহ

থানা ভবনে পিকনিক ‘পুলিশ এখন বানরের মতো’ বললেন পরিদর্শক হাবিবুল্লাহ


ডেস্ক রিপোর্ট

‘পুলিশ হয়ে গেছে এখন বানরের মতো। রিকশাওয়ালার মার খায় পুলিশ। বানরের খাঁচায় বন্দি করে নাচাচ্ছে পুলিশকে।’ এজন্য অন্য চাকরির চিন্তা করছেন বলে জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুল্লাহ খান।

পিকনিকে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পর হাসপাতালে তার শরীরের খোঁজ নিতে গেলে বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) তিনি এসব কথা বলেন।

জানা গেছে, গত ৭ অক্টোবর থানায় পিকনিকের পর পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুল্লাহ খানসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ আকারে প্রকাশিত হয়।

জেলার কয়েকজন সাংবাদিক বৃহস্পতিবার রাতে কটিয়াদী থানায় গিয়ে হাবিবুল্লাহ খানের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন। সাংবাদিকরা তার শারীরিক অবস্থার কথা জানতে চাইলে তিনি ক্ষেপে গিয়ে বলেন, আমি অসুস্থ ছিলাম কখন? যিনি রিপোর্ট করেছেন, তাকে গিয়ে জিজ্ঞেস করুন। থানায় যদি পিকনিক হয়, সেটা কি নিউজ করার বিষয়?

সাংবাদিকরা যুক্তি দেন, থানার কয়েকজন সদস্য অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, তাই বিষয়টি সংবাদযোগ্য। জবাবে হাবিবুল্লাহ খান বলেন, ধরে নিন আমরা থানায় পিকনিক করেছি। এতে কারো কাছ থেকে চাঁদাবাজি করেছি? নিজের টাকায় খাওয়ার অধিকার তো আছে।

এরপর সাংবাদিকরা বিদায় নিতে উদ্যত হলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘পুলিশ হয়ে গেছে এখন বানরের মতো। রিকশাওয়ালার কাছে মার খায়। বানরের খাঁচায় বন্দি করে নাচাচ্ছে আমাদের। আমি অন্য চাকরির চিন্তা করছি।’ সাংবাদিকরা এ মন্তব্যে আপত্তি জানালে তিনি আরও বলেন, ‘বানর হয়ে গেছি তো এখন, তাই বললাম।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি তদন্ত হাবিবুল্লাহ খান সাংবাদিকদের সঙ্গে এমন কোনো মন্তব্য করার বিষয়টি অস্বীকার করেন।

অন্যদিকে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, এভাবে কথা বলা সমীচীন নয়। বিপক্ষে নিউজ হলেই কোনো পুলিশ কর্মকর্তা সাংবাদিকদের প্রতি ক্ষুব্ধ হতে পারেন না, তিনি সংশোধন হতে পারেন। বিষয়টি আমি দেখব। চাকরি করবেন কি করবেন না, সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়।

উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগে কটিয়াদী মডেল থানায় পিকনিকের আয়োজন করা হয়। পিকনিকের খাবার খেয়ে পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুল্লাহ খানসহ অন্তত ১০ জন পুলিশ সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়েন। এদের মধ্যে ছয়জন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নেন। অসুস্থদের মধ্যে ছিলেন পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুল্লাহ খানসহ, এসআই মো. বাছেদ মিয়া, কনস্টেবল উজ্জ্বল মিয়া, কাওসার মিয়া, সাদ্দাম হোসেন, সোহাগ মিয়া, সাথী আক্তার ও মো. ওয়াসিমসহ আরও কয়েকজন।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন