ঢাবিতে ‘ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিক’ বিষয়ক সেমিনার
ঢাবি প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সুইডেনের কেটিএইচ রয়েল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতার রজতজয়ন্তী উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগ মঙ্গলবার বিভাগীয় মিলনায়তনে ‘আর্সেনিক ইন গ্রাউন্ডওয়াটার--সাসটেইনেবল মিটিগেশন এন্ড সিস্টেম স্ট্রেংদেনিং ফর এনহ্যান্সিং ড্রিংকিং ওয়াটার সেফটি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সেমিনার আয়োজন করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে এই সেমিনার উদ্বোধন করেন।
বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুব্রত কুমার সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান এবং ঢাকাস্থ সুইডিশ দূতাবাসের হেড অফ ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন মিস. মারিয়া স্ট্রীডস্ম্যান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
উভয় প্রতিষ্ঠানের প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা ও কার্যক্রম নিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভ‚তত্ত¡ বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মতিন উদ্দিন আহমেদ এবং কেটিএইচ-এর অধ্যাপক ড. প্রসূন ভট্টাচার্য। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ভূতত্ত¡ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আজিজ হাসান। এসময় বিভাগীয় শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল পানিতে আর্সেনিক দূষণকে একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় উল্লেখ করে বলেন, বিশুদ্ধ ও নিরাপদ খাবার পানির জন্য আর্সেনিক দূষণ প্রতিরোধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার আর্সেনিক দূষণ রোধে বেশ কিছু প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলছে।
আর্সেনিকমুক্ত বিশুদ্ধ খাবার পানি সংগ্রহের পাশাপাশি প্রান্তিক অঞ্চলে পানি সংগ্রহকারী নারীদের নিরাপত্তার বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি উল্লেখ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কেটিএইচ-এর মধ্যে এই যৌথ সহযোগিতামূলক গবেষণা কার্যক্রম ভবিষ্যতে আরও প্রসারিত হবে এবং এর মাধ্যমে সাধারণ জনগণ উপকৃত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভূতত্ত্ব বিভাগ এবং কেটিএইচ রয়েল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি সুইডেনের বিভিন্ন গবেষণা ফান্ডের অর্থায়নে বাংলাদেশের ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিক দূষণ রোধ এবং নিরাপদ ও বিশুদ্ধ খাবার পানি নিশ্চিত করতে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে যৌথ সহযোগিতামূলক গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।