
গাজীপুরে এনসিপি নেতা হামলার মামলায় বিএনপি নেতাদের আসামি: শ্রীপুরে বিক্ষোভ-মানববন্ধন, তদন্তে স্বচ্ছতা দাবি
এস এম জহিরুল ইসলাম, গাজীপুর
গাজীপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি নেতাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করায় তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে। মামলাটিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ আখ্যা দিয়ে বুধবার (৭ মে) সকালে শ্রীপুর মডেল থানা ফটকের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
মানববন্ধনে অংশ নেন প্রায় তিন শতাধিক নেতা-কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দা। বক্তারা অভিযোগ করেন, গাজীপুর জেলা যুবদলের সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম মোল্লা ও বরমী ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শওকত মীরসহ বিএনপির কয়েকজন নেতাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলায় জড়ানো হয়েছে। বক্তাদের ভাষায়, “এটি একটি সাজানো মামলা, যার পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা।”
বক্তারা আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে যারা এলাকায় শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছেন, তাদের হঠাৎ করে এমন মামলায় জড়িয়ে দেওয়া গভীর ষড়যন্ত্রেরই অংশ। মানববন্ধন থেকে মামলার সুষ্ঠু তদন্ত, নির্দোষদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলার মূল হোতাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান বক্তারা।
প্রসঙ্গত, গত ৪ মে সন্ধ্যায় গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় মোটরসাইকেল আরোহী একদল দুর্বৃত্ত এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িবহরে হামলা চালায়। তিনি সেদিন সালনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে একটি অনুষ্ঠান শেষে ঢাকায় ফিরছিলেন। যানজটে আটকে পড়া অবস্থায় হামলার শিকার হন তিনি। এ সময় গাড়ির কাচ ভেঙে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়।
ঘটনার পরপরই এনসিপি নেতা সারজিস আলম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে সহযোগিতা কামনা করেন এবং জানান, ১০-১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল এ হামলা চালিয়েছে।
তবে বিস্ময়করভাবে, দায়ের করা মামলায় প্রায় শতাধিক ব্যক্তির নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যাদের মধ্যে অনেকেই ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন না বলে দাবি করেন বিএনপি নেতারা। মামলার ভিত্তিতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের নেতৃত্বে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অন্তত ৫৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজ বলছে, “রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করতে মিথ্যা মামলার আশ্রয় নেওয়া হলে, তা দেশে ন্যায়বিচারের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তোলে। আইনের শাসন ও গণতন্ত্র রক্ষায় সকল নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।”
মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন
আপনি ও পছন্দ করতে পারেন
সর্বশেষ
জনপ্রিয়
আর্কাইভ!
অনুগ্রহ করে একটি তারিখ নির্বাচন করুন!
দাখিল করুন