ডার্ক মোড
Monday, 28 July 2025
ePaper   
Logo
আশুগঞ্জ পাওয়ার প্লান্ট পটুয়াখালী : অবৈধভাবে জমি লিজ দিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম

আশুগঞ্জ পাওয়ার প্লান্ট পটুয়াখালী : অবৈধভাবে জমি লিজ দিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম

 

নিজস্ব প্রতিনিধি

আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড এর আওতাধীন পটুয়াখালী ১৩২০ মে: ও সুপার থামাল পাওয়ার প্লান্টর জন্য ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি উন্নয়ন ও সংরক্ষণ প্রকল্প এর  উপ - বিভাগীয় প্রকৌশলী
মো: রফিকুল ইসলাম লুটপাটের ধারা চলমান।

এই প্রকল্পের আওতায় অধিগ্রহণকৃত জায়গার পরিমান ৯০০ একরেও অধিক । এই প্রকল্পের কাজ বাংলাদেশ আর্মি পরিচালিত বাংলাদেশ ডিজেল প্লান্ট বড় ৩টি কজের দায়িত্বরত। অনান্য কাজের সাথে বেশ কিছু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দায়িত্বরত ইতিমধ্যে প্রকল্পের ৮০ ভাগের বেশি কাজসম্পন্ন হয়েছে।
বর্তমানে অফিসিয়াল জটিলতা সৃষ্টির মাধ্যমে কাজ কিছু সময়ের জন্য স্থগিত হয়ে আছে।

অভিযোগ উঠেছে প্রকল্পের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো: রফিকুল ইসলাম মৌখিক অবৈধ লীজের মধ্যমে ভুমি বরাদ্দ দিয়ে লুটপাট চালাচ্ছেন। এই প্রকল্প আর হবেনা এই বলে প্রকল্প এলাকার বিভিন্ন মানুষজনের কাছে অবৈধভাবে প্রকল্পের জমি লীজ প্রদান করছে । চলতি বছরের মে মাসে তিনি বেশ কিছু জমি অবৈধভাবে লিজ দেন দেন । সে সময় তিনি নিবাহী প্রকৌশলী এর দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। শোনা যায় তিনি প্রকল্প পরিচালকের স্নেহভাজন একজন কর্মকর্তা দীর্ঘদিন ধরে তারা একসঙ্গে এই প্রকল্পে কাজ করে আসছেন। প্রকল্প পরিচালকের সহযোগিতায় তিনি এই অবৈধ কাজ করে যাচ্ছেন।

ওই এলাকার স্থানীয়দের অনেকের কাছেই মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এই কর্মকর্তা। তিনি স্থানীয় অসহায় কৃষকদেরকে বলছেন আপনারা নিয়মিত ভবে লীজের অর্থ প্রদান করবেন এবং আমি প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্বিত করবো এবং এও বলতে শোনা যায় প্রকল্প পরিচালক আমার আস্থাভাজন আমি এইসকল বিষয় ম্যানেজে করবো।

স্হানীয়দের কয়েকজন সাথে মিলে প্রকল্পের বাধের মাটি কেটে নিয়ে বিক্রি করেছেন

প্রকৌশলি রফিকুল ইসলাম । যে সকল ব্যক্তিরা এই বাঁধের মাটি কাটার সাথে সহযোগিতা করছেন তারা বলেন রফিক সাহেবের কাছ থেকে শুনেছি এই প্রকল্প আর হবেনা। কেউ এই রফিকুল ইসলামের এর ব্যাপারে কথা বলতে না চাইলেও কয়েকজন পরিচয় গোপন রাখার শর্তে দেবপুর, পাচজুনিয়া, ও ধানখালীর কিছু লোকজন সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। টাকা দিলে যে কেউ জমি লীজ নিতে পারবে মৌখিক ভাবে । প্রকৌশলি রফিকুল ইসলামের ২/৩ জন স্থানীয় এজেন্ট আছে। তবে কিছুদিন আগে প্রকল্পে দুদকের তদন্তটিম পরিদর্শন করায় লিজ নেয়া ব্যাক্তিদের
মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় । প্রকৌশলী রফিকের সাথে লীজ নেয়া কিছু ব্যাক্তিদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়, এবং তিনি সবকিছু ম্যানেজ করে নিবেন বলে তাদের আসশাস দিয়েছেন।


সরকারের প্রায় ৮০০ কোটি টাকা খরচ করার পরও সরকারের এখনও কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের কারনে আজ পুরো প্রকল্প অসম্পূর্ণ ভাবে পতিত হয়ে পরে আছে। রফিকুল ইসলাম নবাবী আমলের জমিদারদের মতন জমির খাজনা আদায় করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার আশায় দিন গুনছে।
স্থানীয় সুশীল ব্যক্তিবর্গ বলছেন সুনামধন্য আশুগন্জ কতৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখলে প্রকল্পের নিয়োজিত কর্মকর্তারাই এরকম অনৈতিক কার্যকলাপ করতে পারত না।

এ বিষয়ে বিভাগীয় প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোনটা কেটে দেন পরবর্তীতে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তা সম্ভব হয়নি।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন

আপনি ও পছন্দ করতে পারেন