আমাদের এখন উপদেশ নেওয়ার নয় দেওয়ার সময় : মোমেন
নিজস্ব প্রতিবেদক
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আগামী পৃথিবীর ভবিষ্যৎ কী হবে এটা নিয়ে ভাবার সময় এখন এসেছে। কারণ ইতোমধ্যে জঞ্জাল লেগে গেছে। পৃথিবী ঘিরে একটা যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব বিরাজ করছে। তাই আমাদের এডুকেশন রিসার্চের গবেষণা করা উচিত যে, বিশ্বের ভবিষ্যৎ কী ধরনের হওয়া উচিত। পাশাপাশি আমেরিকার পলিসি কী ধরনের হওয়া উচিত, সেগুলোতে আমরা উপদেশ দেব। আমাদের এখন উপদেশ নেওয়ার সময় নয়, আমাদের এখন উপদেশ দেওয়ার সময়।
শুক্রবার (২৮ জুন) প্রেস ক্লাবে এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমেরিকা যদি তাদের ফরেন পলিসি পরিবর্তন করে এবং দুনিয়ার মানুষের কথা চিন্তা করে, তাহলে তারা বিশ্বের নেতা হবে। আর যদি তাদের নিচু মন মানসিকতা প্রকাশ পেতে থাকে, তাহলে কিন্তু তারা বিশ্বের মধ্যে কুলাঙ্গার হবে। কাজেই দুনিয়া নিয়ে ভাবার সময় আমাদের এখন এসেছে। আমরা তাদের আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে চাই। এ জন্যই আমাদের প্রয়োজন আছে রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের।
পশ্চিমা বিশ্বের ফ্রি থিংকিংয়ের পরিধি সীমিত হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্প্রতি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি আমাকে দাওয়াত দেয় জিও পলিটিক্সয়ের বিষয়ে আলোচনা করতে। তারপর তারা আমাকে শর্তও দিয়ে দেয় যে, আপনি গাজা এবং ফিলিস্তিনের ইস্যুতে কোনো কথা বলবেন না। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির মতো বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে উন্মুক্তভাবে সব কিছু আলোচনা করা যায়... তারা এখন কতটা ন্যারো মাইন্ডেড হয়ে গেছে এর মাধ্যমে বোঝা যায়।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ হচ্ছে ল্যান্ড অফ ফ্রিডম স্পিচ অ্যান্ড ফ্রি মিডিয়া। গত ৭০ বছরে আওয়ামী লীগ দেখিয়েছে, তারা একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্র তৈরি করেছে। শুধু দেশ তৈরি নয়, সেই দেশটাকে শক্ত বীমের ওপর প্রস্তুত করার জন্য যা যা দরকার তাই করেছে।
তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলোর প্রতি আমাদের দাবি... অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ করে মানুষের মনমানসিকতা ও সংস্কৃতির বিকাশে সেই টাকাগুলো খরচ করুন। ২৩০০ বিলিয়ন ডলার তারা শুধু অস্ত্র কেনা বা ডিফেন্সের নামে বলে, তা সবই মেকিং। আমরা যদি মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্যবোধ তৈরি করতে পারি, তাহলে ওইগুলোর প্রয়োজন হবে না। আজকে যারা গবেষণা করে তাদের এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে হবে... কীভাবে ডাইভারসিফিকেশনের মাধ্যমে এই অর্থ মানুষের বিকাশের জন্য কাজে লেগে পৃথিবীতে সুন্দর একটা রূপ দেওয়া যায়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো ইসমাইল খান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. কামরুল আলম খান, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সেলিনা আখতার প্রমুখ।