
আওয়ামী লীগ নেতার লাইসেন্সে কাজ চলমান থাকায় নির্মাণাধীন মডেল মসজিদ সাইটে হামলা-ভাঙচুর
পিরোজপুর প্রতিনিধি
পিরোজপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মো. হাবিবুর রহমান মালেকের লাইসেন্সে এখনও কাজ চলমান থাকায় নির্মাণাধীন মডেল মসজিদের সাইটে হামলা, ভাঙচুর ও ওই আওয়ামী লীগ নেতার পরিচালিত পিরোজপুরের বলেশ্বর সেতুর টোল ঘরে অগ্নিসংযোগ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (২২ মার্চ) দুপুরের দিকে সমন্বয়ক মুসাব্বির মাহমুদ সানির নেতৃত্বে ৩০-৪০ জনের একটি দল পিরোজপুর পৌরসভার কাছাকাছি নির্মাণাধীন মডেল মসজিদের সাইটে হামলা করে। এ সময় হামলাকারীরা সেখানের স্টাফ ও কর্মচারীদের থাকার ঘরে ভাংচুর চালায় এবং অফিস কক্ষে রাখা ৫ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং সেখানে থাকা সিসিটিভি ও হার্ডডিক্স ভেঙে ফেলে বলে অভিযোগ করেছে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা। এর আগেও তাদের কাছে সানি ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল বলে অভিযোগ তাদের।
এদিকে মডেল মসজিদের সাইটে হামলার পর পরই পিরোজপুরের বলেশ্বর ব্রিজের টোল সংগ্রহের ঘরেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সানি দাবি করে অবৈধভাবে মডেল মসজিদের কাজ চলছিল। তিনি বলেন, স্বৈরাচারের দোসর ও বারবার বিনা ভোটের মেয়র হাবিবুর রহমান মালেক এর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজ এখনও চলমান থাকায় বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতার আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বের হওয়া মিছিল থেকে এ হামলা করেছে। এর সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা নাই বলে দাবি সানির। এছাড়া চাঁদার দাবির অভিযোগটিও অস্বীকার করেছে সে। হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এই কাজটি চলমান আছে। এসময় তিনি এই কাজের চুক্তি বাতিল করে রিটেন্ডার দাবি করেন।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মুকিত হাসান খান জানান, বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া ভূক্তভোগীদের থানায় অভিযোগ দেওয়ার জন্যও বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে এ ঘটনায় মো. মুসাব্বির মাহমুদ সানি, তার ভাই সানজিদ ও সাজিদুল ইসলাম জয় সহ অজ্ঞাত ২০/২৫ জনকে আসামি করে সরকারি কাজে বাধা প্রধান, মারধর এবং লুটপাটের মামলা দায়ের করেন ওই সাইটের প্রজেক্ট ম্যানেজার শহিদুল আলম।