৩০ কোটি টাকার সার আত্মসাতের অভিযোগে যমুনা সার কারখানার ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
মোস্তাক আহমেদ মনির, সরিষাবাড়ী (জামালপুর)
জামালপুরে সরিষাবাড়ীর তারাকান্দি যমুনা সারকারখানার প্রায় ৩০ কোটি টাকা মূল্যের সার আত্মসাতের ঘটনায় বরখাস্তকৃত বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক ওয়ায়েছুর রহমানসহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছে দুদক।
জামালপুর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মলয় কুমার সাহা বৃহস্পতিবার সন্ধায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বাকী আসামীরা হলো- যমুনা সারকারখানার সহ-ব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) মোঃ মাঈন উদ্দিন, উপসহকারী কারিগরী কর্মকর্তা/ পালা বদল প্রধান মোঃ হারুন-অর-রশিদ, উপ-সহকারী কারিগরী কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদ, সহকারী বিক্রয় কর্মকর্তা বজলুর রশীদ খান ও অবসরপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) খোকন চন্দ্র দাস।
মামলায় উল্লেখ করা হয়- আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের তারাকান্দিতে অবস্থিত যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানী লিঃ এর ১৮ হাজার ৯১৬.৪৫ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আত্মসাত করে। যার সরকারি মূল্য ২৯ কোটি ৯৫ লাখ ৯৭ হাজার ৩৫২.২৪ টাকা। তাই আসামীদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধি ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সনের ২নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়।
কিশোরগঞ্জ দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে ৮ এপ্রিল জামালপুর আদালতে ৬ জনের বিরুদ্ধে এই মামলাটি দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে জামালপুর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মলয় কুমার সাহা বলেন, দুদক দীর্ঘদিন ধরে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছিলো, বিভিন্ন অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার পর মামলাটি দায়ের করেছে। এখন আমরা আদালতে মাধ্যমে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনবো।
