সালমান-কাদেরসহ ৪ ভিআইপির বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগে দুদকের অনুসন্ধান
নিজস্ব প্রতিবেদক
নতুন পৃথক অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ঢাকা-১৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা এবং আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ আলম।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সালমান ও শাহ আলম প্রায় ১৯০৭ কোটি টাকা ঋণ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত। প্রকল্পে ১৩৭টি বাস ক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া ইলিয়াস মোল্লার বিরুদ্ধে ৭০০ একর সরকারি খাস জমি দখলসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে আইএফআইসি ব্যাংকের গুলশান শাখার গ্রাহক রুমুন ট্রেডিং লি., এক্সিস বিজনেস লি. এবং প্রিন্সিপাল শাখার গ্রাহক এভারেস্ট এন্টারপ্রাইজ, গ্লোয়িং কন্সট্রাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লি., ভিস্তা ইন্টারন্যাশনাল লি. ও স্কাইমার্ক ইন্টারন্যাশনাল লি. এর অনুকূলে এক হাজার ৯০৭ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর ও বিতরণ দেখিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে সালমান এফ রহমান ও ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ আলমের বিরুদ্ধে।
তিনি আরও বলেন, বিআরটিএ'র একটি প্রকল্পে ১৩৭টি বাস কেনা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ওবায়দুল কাদের ও পরিবহন বিভাগের সাবেক সচিব এ বি এম আমিনুল্লাহ নুরীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। মিরপুরের ৭০০ একর সরকারি খাস জমি দখল, অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস মোল্লার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ১৩ আগস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সালমান এফ রহমানকে একসঙ্গে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের দোর্দণ্ড প্রতাপশালী নেতা ওবায়দুল কাদের কোথায় আছেন, তার নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য নেই। তবে তিনি ভারতে পালিয়ে গিয়েছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।