ডার্ক মোড
Monday, 13 January 2025
ePaper   
Logo
সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক

সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুই বাংলাদেশির জমি চাষে বিএসএফ বাঁধা দেওয়ার ঘটনায় রোববার দুপুরে এ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।বৈঠকে আগামী ২০ জানুয়ারি উভয় দেশের সার্ভে বিভাগ কর্তৃক যৌথ পরিমাপের পর বিষয়টির চুড়ান্ত নিস্পত্তি হবে বলে জানানো হয়।

পতাকা বৈঠকে বিজিবি’র পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৩৩ বিজিবি’র অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আশরাফুল হক। অন্যদিকে বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ১০২ ব্যাটালিয়ন বিএসএফের কমান্ডার রমেশ কুমার।

সাতক্ষীরার লক্ষীদাড়ি গ্রামের বাসিন্দা নাজমুল হোসেন বলেন,‘‘ভোমরা সংলগ্ন লক্ষীদাড়ি সীমান্তের কুমড়াখালী খালের বাংলাদেশ অংশে ১০ শতক জমি আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছ থেকে লিজ নিয়েছি। সেই জমিতে শনিবার সকালে বোরো ধান রোপন করতে যান তিনি। এসময় বিএসএফ ও স্থানীয়রা তাকে ধান রোপন করতে বাঁধা দেন।ওই জমি ভারতীয় অংশের বলে আস্ফালনও করেন তারা। একপর্যায়ে তিনি ধানের চারা রোপন বন্ধ রাখেন।’’

একই গ্রামের শাহীন গাজী জানান,‘‘ আমার পিতা নজরুল গাজী বাড়ির দক্ষিণ পাশে প্রায় ১ বিঘা জমি ডিসিআর নিয়ে ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চাষাবাদ করে আসছেন। শনিবার বিকেলে দু’জন শ্রমিক নিয়ে ওই জমিতে চাষ করতে গেলে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বিএসএফ সদস্যরা বাঁধা দেয়। ওই জমি ভারতের বলে তারা দাবি করে। বিষয়টি ভোমরা বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানায়। ‘’

পতাকা বৈঠকের পর ভোমরা বিজিবির সুবেদার আফজাল হোসেন জানান,‘‘আপত্তিকৃত অংশ ব্যতীত অন্য জায়গায় চাষাবাদ অব্যাহত থাকবে।আর আপত্তিকৃত জায়গায়

আগামী ২০ জানুয়ারি তারিখে উভয় দেশের সার্ভে বিভাগ কর্তৃক যৌথ পরিমাপের পর বিষয়টির চুড়ান্ত নিস্পত্তি হবে বলে একমত পোষণ করা হয়েছে।’’

আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় অপরাধী সনাক্তে সাতক্ষীরার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি স্থাপনের সিদ্ধান্ত

সাতক্ষীরার জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় অপরাধী সনাক্ত করণে জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি স্থাপন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক পরিচয়ে অবৈধভাবে মৎস্য ঘের দখলে মত্ত হওয়াদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সেনাবাহিনীকে তথ্য দেওয়া, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা,জলাবদ্ধতা নিরসন একত্রে কাজ করা, শহরের ট্রাফিক জ্যাম নিরসন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগকে আরও বেশি সোচ্চার হওয়া, পৌরসভার নিবন্ধিত ইজিবাইক ছাড়া বাহিরের কোন ইজিবাইক শহরের মধ্যে ডুকতে না দেওয়া, প্রাণ সায়ের জোয়ার-ভাটা প্রবাহিত খালকে পরিষ্কার পরিছন্ন রাখতে সকলে সচেষ্ট হওয়া,ভোমরা স্থলবন্দরকে গতিশীল করা, জেলার গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলো নিরসন এবং সেসকল মামলার আসামিদের অবৈধভাবে দেশ ত্যাগ করার আগে গ্রেফতার করা, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নতি,রাস্থায় ধারে যত্রতত্র ইট বালি খোয়া রাখা, রাস্থা খুঁড়াখুঁড়ি না করা, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা, মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরীতে প্রাথমিক শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া,কোচিং বানিজ্য বন্ধ,বাল্য বিবাহ বন্ধসহ জেলার বিভিন্ন বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় বক্তারা তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেন।

রবিবার (১২ জানুয়ারি) সকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোস্তাক আহমেদ।

সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রিপন বিশ্বাসের সঞ্চালনায় আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক বিষ্ণুপদ পাল, সেনাবাহিনীর ৯ বেঙ্গলের অধিনায়ক লে. কর্নেল ফাহিম আদনান, সেনাবাহিনীর সাতক্ষীরার ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন আলিফ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মাসরুবা ফেরদৌস, জেলা বিএনপি'র আহবায়ক এড. সৈয়দ ইফতেখার আলী, জেলা জামাতের আমীর অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল হাসেম, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বাসুদেব বসু, জেলার সাত উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আব্দুর সাত্তার, এনএসআই, ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তা, র‍্যাবের প্রতিনিধি।

এছাড়া নৌপুলিশ, কোস্ট গার্ডসহ জেলার সকল সরকারি বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন