
সবকিছুতে ভারতকে দোষ দিয়ে ভালো সম্পর্ক চাইতে পারে না বাংলাদেশ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সবকিছুতে ভারতকে দোষারোপ করে বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে ভালো সম্পর্ক প্রত্যাশা করতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এছাড়া সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার কারণে বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের ‘চিন্তায়’ প্রভাব পড়ছে বলেও জানান তিনি। যদিও স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর ধর্মীয় কারণে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহিত্য উৎসবের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, “(বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বন্দ্ব) নিয়ে দুটি বিষয় রয়েছে। সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন বেড়ে যাওয়া। অবশ্যই এটি এমন একটি বিষয় যা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আমাদের চিন্তা নিয়ে প্রভাব ফেলছে। এটি নিয়ে আমাদের কথা বলতে হবে। আমরা কথা বলেছিও।”
তিনি আরও বলেন, “দ্বিতীয়টি হলো, তাদের নিজস্ব রাজনীতি আছে। কিন্তু দিন শেষে আমরা প্রতিবেশী। বাংলাদেশকে ঠিক করতে হবে তারা আমাদের সঙ্গে কী ধরনের সম্পর্ক চায়।”
“যদি অন্তর্বর্তী সরকারের কেউ প্রতিদিন, ভারতকে সবকিছুর জন্য দায়ী করে। প্রতিবেদনে দেখবেন কিছু বিষয়ে আমাদের দোষারোপ করা হয়েছে, যা হাস্যকর। আপনি এক হাতে বলতে পারেন না, আমি আপনার সাথে এখন ভালো সম্পর্ক চাই। কিন্তু প্রতিদিন সকালে উঠে, যা কিছু ভুল হবে, তার জন্য আমাকে দায়ী করবেন। এটিও একটি সিদ্ধান্ত যা তাদের নিতে হবে।”— যোগ করেন জয়শঙ্কর।
বাংলাদেশকে ভারতের চিন্তাভাবনা স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে উল্লেখ করে জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা চাই সবকিছু শান্ত হোক এবং সাধারণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আবারও শুরু হোক। কিন্তু অব্যাহতভাবে শত্রুতাপূর্ণ বার্তা নিয়ে আমরা অখুশি।”
গত বছরের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতের নয়াদিল্লিতে আশ্রয় নেন। এরপর থেকেই ভারত অভিযোগ করছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা ব্যাপক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে এর কোনো মিল নেই। যা জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থা নিশ্চিত করেছে।
পালিয়ে থেকেও দিল্লির কোনো এক অজ্ঞাত স্থান থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন শেখ হাসিনা। যা দলটি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করছে। হাসিনার এসব বক্তব্য ভালোভাবে নিচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। এ কারণে তাকে চুপ রাখতে ভারতকে বার্তা দিয়েছে অন্তবর্তী সরকার।
সূত্র: দ্য প্রিন্ট