ডার্ক মোড
Monday, 24 February 2025
ePaper   
Logo
বেবিচকের প্রধান প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে রুল জারি

বেবিচকের প্রধান প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে রুল জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক

দুদকের মামলার আসামি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) প্রধান প্রকৌশলী হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে কেন বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।

একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও মুবিনা আসাফের বেঞ্চ এই বিষয়ে রুল জারি করে চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের জবাব দিতে বলেছে।

রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী চৌধুরী মোর্শেদ কামাল টিপু; সঙ্গে ছিলেন মো. সোলায়মান তুষার।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ শফিকুর রহমান। তাকে সহযোগিতা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল

মাহফুজ বিন ইউসুফ, অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল কবির ও মো. ঈসা।

অ্যাডভোকেট সোলায়মান তুষার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বেবিচকের প্রধান প্রকৌশলী হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে ও বরখাস্ত করতে গত ১০ ফেব্রুয়ারি ছয় আইনজীবীর পক্ষে তিনি রিটটি দায়ের করেন।

“রিটে বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বেবিচকের চেয়ারম্যান, পরিচালক (প্রশাসন) ও প্রধান প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমানকে বিবাদী করা হয়। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ রুল জারি করেছেন আদালত।”

রিটকারীরা হলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. সোলায়মান তুষার, মাহদী জামান, বায়েজীদ হোসাইন, নাঈম সরদার, মো. শাহেদ সিদ্দিকী ও খায়রুল বাশার।

এর আগে এই প্রধান প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ৬ ফেব্রুয়ারি সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিস দেওয়া হয়েছিল; যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় রিট দায়ের করা হয় বলে সোলায়মান জানান।

নোটিসে বলা হয়, প্রধান প্রকৌশলী হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের বিমানবন্দরগুলোতে শত শত কোটি টাকার দুর্নীতি ও লুটপাট হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন তাদের অনুসন্ধানে এই লুটপাটের সঙ্গে হাবিবুর রহমানের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে। তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নয়নের নামে ৮১২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে হাবিবুর রহমানসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ৪টি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আইনজীবী সোলায়মান তুষার বলেন, বেবিচকের বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের মামলায় ইতোমধ্যে আসামি হয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক বিমান সচিব মহিবুল হক, যুগ্মসচিব জনেন্দ্রনাথ সরকার, বেবিচকের সাবেক চেয়ারম্যান মফিদুর রহমান, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মালেক ও বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান।

“বেবিচকের প্রধান প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অভিযোগে অন্ত নেই। ইতোমধ্যে থার্ড টার্মিনালসহ দেশের ৮ বিমানবন্দরে ৩২ হাজার ৬০৫ কোটি টাকার প্রকল্পে দুর্নীতির তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ৯০০ কোটি টাকার দুর্নীতি নিয়ে মামলা হয়েছে।”

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন