
লাকসামে মিথ্যা মামলায় বিএনপি নেতাদের ফাঁসানোর অভিযোগ
লাকসাম, প্রতিনিধি
কুমিল্লার লাকসাম পৌরসভার ছাত্রলীগের নেতা অনিকের নির্মম হত্যাকান্ড ঘিরে নানান তথ্য ফাঁসে এর কারনে এলাকার জনমনে সৃষ্টি হচ্ছে ক্ষোভ। বিশেষ করে, লাকসামের একটি আলোচিত ঘটনায় মিথ্যা মামলায় স্থানীয় বিএনপি নেতা কর্মীদের ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে এলাকার জনমনে। জানা যায়, বিগত ২০২৪সালের ৭ই জানুয়ারী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় বিএনপি’র নানান কর্মসূচি পন্ড করতে এবং লাকসামে বিএনপি নেতা ও কমীর্দের ভয়—ভীতি প্রদর্শন ও ঘর ছাড়া করতে একটি পরিকল্পিত উদ্যোগ নেয় স্থানীয় আ’ওয়ামীলীগ। পুরো লাকসাম জুড়ে চালায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ দিয়ে নৈরাজ্য ও তান্ডব। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৩সালের ২১শে জুন দক্ষিণ লাকসাম বাইপাস এলাকায় ছাত্রলীগ দুই গ্রুপের একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের এক গ্রুপের নেতা অনিক সামান্য আহত অবস্থায় রাজধানী ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাটকীয় ভাবে মারা যান। এই মৃত্যুর ঘটনাকে আওয়ামীলীগের একটি পরিকল্পিত চক্রান্ত হিসাবে পাঠার বলি বানায় লাকসামের স্থানীয় বিএনপি’র নেতাকমীর্দের।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানা যায়, লাকসামের বহুল আলোচিত এই নির্মম হত্যাকান্ড হয়ে ছিল।
একটি পরিকল্পিত এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণদিত হামলার ঘটনা। ওই দিন থেকেই বিএনপি’র
নেতাকমীর্দের বাড়ী—ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ধ্বংশ যজ্ঞ চালায় আ’লীগ নেতাকমীর্রা। আ’লীগ
নিজেদের কর্মী অনিককে সু—পরিকল্পিত ভাবে চিকিৎসাধিন অবস্থায় নাটকীয় ভাবে হত্যা করে।
যার দায়—ভার বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর চাপায়। যেখানে একজন আহত ব্যক্তিকে নিরাপদ
পরিবেশে হাতপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার কথা কিন্তু ওই দিন ঢাকার ওই হাসপাতালটির
নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙ্গে দেয় ছাত্রলীগ। সু—কৌশলে নিজেদের কর্মী অনিকের জীবন কেড়ে নেয়া হয় নিষ্ঠুর ও পৈশাচিক কায়দায়। যা তৎকালিন সময়ে গোটা লাকসামকে স্তব্দ করে দেয় আ’লীগ। এই নাটকীয় ঘটনার পিছনে আ’লীগের শীর্ষ একাধিক নেতাদের নেতৃত্ব জড়িত থাকার
মিশন কাজ করছে বলে ধারনা করছেন এলাকাবাসী। এই ঘটনায় জেলা যুবদল নেতা সাইমুন
রহমান রকি, সাকিল, এসএম তাজুল ইসলাম খোকন, আর্মি ফারুক, আবুল হোসেন মিলন ও
টিপু সুলতানসহ একাধিক বিএনপি নেতাকে এই মিথ্যা মামলায় জড়ায়। এমনকি এই মামলায় লাকসাম তথা কুমিল্লার মিডিয়া জগতে আলোচিত তারণ্য সিনিয়র সাংবাদিক লাকসাম প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মশিউর রহমান সেলিমকে গ্রেফতার করে প্রায় দুই মাস জেল
খাটায়। ধ্বংস করেছে তার বাড়ী—ঘর ও ব্যবসা—প্রতিষ্ঠান। এই সাংবাদিক পরিবারটির উপর
একাধিক বার অমানবিক নৈরাজ্য ও তান্ডব লীলা চালিয়েছে আ’লীগ যা লাকসামের ইতিহাসে
কখনো ঘটেনি।
স্থানীদের অপর একটি সূত্র থেকে জানা যায়, তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে এই ঘটনা অত্যান্ত ভয়াবহ রুপ নেয়,
রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত হওয়ায় এবং তৎকালিন সময়ে আ’লীগ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের
হস্তক্ষেপে এই মামলাটি সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্তে অন্তরায় সৃষ্টি করেছে বলে দাবি স্থানীয়দের। তবে
সংশ্লিষ্ট মামলাটি পুর্ণস্বাধীন ও নিরপেক্ষ ভাবে পুনরায় তদন্ত করা হলে এই ঘটনার সঠিক চিত্র
বের হয়ে আসবে এবং বিচার প্রক্রিয়াও নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এই ঘটনায় শুধু একটি
প্রাণ ঝরে যায়নি, হারিয়েছে একটি পরিবার তাদের সন্তানকে। ধ্বংস করেছে একজন নিভীর্ক
সিনিয়র সাংবাদিক পরিবারকে। স্তব্দ করে দিয়েছে পুরো লাকসামের মানুষকে। এমন নির্মমতা ও
নোংরা রাজনীতির শিকার আর যেন কেউ না হয় সে প্রত্যাশা এলাকার মানুষের।