
এনআরবি ইসলামিক লইফ ইন্সুরেন্সের চেয়ারম্যান ও সিইও এর দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
নিউজ ডেস্ক
এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান কিবরিয়া গোলাম মোহামাদ ও সিইও মো. শাহ জামাল হাওলাদারের দেশ থেকে পলায়নের শঙ্কায় তাদের বিদেশ গমন রোধ চেয়ে চিঠি দিয়েছে পুলিশ। রাজধানীর আদাবর থানায় দায়ের করা এক মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের স্বার্থে আদাবর থানার উপ-পরিদর্শক রাকিবুল ইসলাম ঢাকা মহানগর পুলিশের (তেজগাঁও বিভাগ) উপ-কমিশনারের মাধ্যমে পুলিশের বিশেষ শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার (ইমিগ্রেশন) এবং বিশেষ পুলিশ সুপার (ল্যান্ড অ্যান্ড সী পোর্ট) বরাবর এই চিঠি দিয়েছেন।
তাদের পাসপোর্ট নম্বরসহ বিস্তারিত ব্যক্তিগত তথ্য উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়েছে, আদাবর থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি কিবরিয়া গোলাম মোহামাদ (আওয়ামী লীগ নেতা ও অর্থ যোগানদাতা) এবং মো. শাহ জামাল হাওলাদার কোটা আন্দোলন দমনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল। উক্ত আসামি বিদেশে চলে গেলে মামলার তদন্তে বিঘ্ন ঘটার সমূহ সম্ভাবনা বিদ্যমান। অতএব মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে উক্ত আসামি যাহাতে বিদেশে যেতে না পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন। অতএব মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে বর্ণিত আসামির বিদেশ গমন রোধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে জনাবের মর্জি হয়।
এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান কিবরিয়া গোলাম মোহামাদ ওরফে জি এম কিবরিয়া পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ দোসর। বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ সর্ব ইউরোপীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইতালি আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক। কিবরিয়ার স্ত্রী ফ্যাসিস্টের আরেক দোসর সর্ব ইউরোপীয় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হোসনে আরা বেগম। যাকে কাগজে কলমে কোম্পানির ওভারসিজ এজেন্সি ডিরেক্টর বানিয়ে কমিশনের নামে পাচারের মাধ্যমে লুটে নিয়েছে বিপুল অংকের অর্থ। যার প্রধান সহযোগী কোম্পানির বিতর্কিত সিইও ও আওয়ামী লীগের আরেক অর্থদাতা শাহ্ জামাল হাওলাদার।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ফ্যাসিস্টের অর্থায়নকারী জিএম কিবরিয়া ও তার স্ত্রী হোসনে আরাকে ২০২১ সালে উপঢৌকন হিসেবে এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিটির লাইসেন্স দেয় পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। লাইসেন্স পেয়েই এনআরবি ইসলামিক লাইফ থেকে নানা উপায়ে অর্থ বের করত ফ্যাসিস্টের অর্থায়নকারী গোলাম কিবরিয়া। যে কারণে প্রতিষ্ঠার তিন বছরের মাথায় নানা অনিয়মে খাদের কিনারে এসে পড়েছে কোম্পানিটি। ঝুঁকির মুখে পড়েছে বীমা গ্রাহকদের আমানত। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) তদন্তেও উঠে এসেছে কোম্পানিটির নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের চিত্র।