
লঞ্চে খাবারের দাম বেশি রাখায় মারামারি, আটকতৃত ২৮ জনের ১৬ জনকে হাজতে প্রেরণ
বেতাগী (বরগুনা) প্রতিবেদক
সদরঘাট টার্মিনাল থেকে বরগুনাগামী লঞ্চ ধীর গতিতে চালানো
এবং খাবারের দাম বেশি রাখাকে কেন্দ্র করে যাত্রী ও লঞ্চ স্টাফদের মধ্যে
দফায় দফায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল শনিবার ঢাকা থেকে বরগুনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে রয়্যাল ক্রুজ ও
রাজারহাট সী লঞ্চে রাত ২ টা থেকে এ ঘটনা ঘটে। এসময় দুই লঞ্চের
বেশ কয়েকজন কর্মচারীসহ আহত হয়েছে বলে জানা যায়।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে রোববার ভোরে দুই লঞ্চের ২৮ জন যাত্রীকে
আটক করে বেতাগী থানা পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে ১২ জনকে
মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে আর ১৬ জনকে কারাঘরে
প্রেরন করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার ঢাকার
সদরঘাট থেকে এম ভি রয়েল ক্রুজ ও এম ভি রাজারহাট সী লঞ্চ যাত্রী
নিয়ে বরগুনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। মাঝরাতে লঞ্চ ধীরে চলা ও লঞ্চের
ভিতরের সেহেরীর জন্য খাবারের প্যাকেজের দাম বেশি রাখা নিয়ে
কয়েকজন যাত্রীর সাথে লঞ্চের স্টাফদের ঝড়গা বাধে। কিছুক্ষণ পর তা
এতে আরও যাত্রীরা জড়িয়ে পড়ে। হাতাহাতিতে লঞ্চের বেশ কয়েকজন
স্টাফ এবং নিরাপত্তা কর্মী আহত হয়। লঞ্চ কতৃপক্ষ পুলিশে খবর দিলে
পুলিশ বেতাগী লঞ্চঘাটে এসে ২৮ জন যাত্রীকে থানা হেফাজতে
নিয়ে আসে। এ খবর পেয়ে আটক যাত্রীদের স্বজনেরা থানা চত্বর
ঘেরাও করে গাছের গুড়ি ফেলে রাস্তা বন্ধ করে দেয়। সবশেষ
নৌবাহিনী ও জেলা পুলিশের আতিরিক্ত সদস্যরা এসে পরিস্থিতি
নিয়ন্ত্রণে আনে।
উপজেলার মোকামিয়ার এলাকার মাছুয়াখালী গ্রামের এক বৃদ্ধা
বলেন, আমার ছেলে ট্রাকে কাজ করে। লঞ্চে গন্ডগোলের সময় আমার
ছেলে ঘুমিয়ে ছিলো। সে কোন অপরাধ করেনি। লঞ্চ থেকে নামার
সময় তাকে বিনা অপরাধে জোড় করে গ্রেফতার করে পুলিশ।
উপজেলার কেওড়াবুনিয়া এলাকার শান্তা আক্তার বলেন, আমার ভাই
পারভেজ ঢাকায় একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করে। সে ঈদে বেড়াতে
বাড়ি আসতেছিলো। তাকে কেবিনের ভিতর থেকে আটক করা
হয়েছে।
বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান
বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে লঞ্চে মারামারির করার অভিযোগ
রয়েছে। অভিযোগের সত্যতার ভিত্তিতে ১৫ জনের বিরুদ্ধে
প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।