ডার্ক মোড
Thursday, 05 December 2024
ePaper   
Logo
রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রকারী সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মানববন্ধন

রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রকারী সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক

আধিপত্য প্রতিরোধ আন্দোলন, মুভমেন্ট ফর প্যালেস্টাইন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ জনজোটের যৌথ উদ্যোগে সোমবার বিকাল ৩ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রকারী সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে আধিপত্য প্রতিরোধ আন্দোলনের আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ মুসলিম সমাজের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মাসুদ হোসেন বলেন, চট্টগ্রামের আদালত প্রাঙ্গনে প্রকাশ্যে দিবালোকে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবীকে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রকারী সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকনের সদস্যরা হত্যার পর এ দেশের সর্বস্তরের জনগণ রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রকারী সন্ত্রাসী সংগঠন ইস্কন নিষিদ্ধের দাবিতে রাজপথে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় ৫ই আগস্ট ছাত্র—জনতার তীব্র গণআন্দোলনে গণঅভ্যুত্থান ঘটার পরে ভারতীয় আধিপত্যবাদের দালাল হাসিনাকে বিদায়ের পরে জনগণ এক বুক আশা বাঁধে এবার বাংলাদেশ ভারতীয় আধিপত্যবাদ মুক্ত হবে।

অত্যন্ত দুঃখের বিষয় পরবর্তীতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয় এ সরকার এখনো পর্যন্ত জনগণকে কোন আশার বাণী দেখাতে পারেনি। ৯৫ পার্সেন্ট মুসলমানের এই দেশে এখনো পর্যন্ত ভারতীয় আধিপত্যবাদী শক্তি মাথা উঁচু করে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা সরকারকে সতর্ক করে বলতে চাই আপনাদেরকে ৯৫ পার্সেন্ট মুসলমানদের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানোর জন্য ৫ই আগস্টের পরাজিত শক্তি সংখ্যালঘু কার্ড খেলছে। তারা চায় ভারতের মতো হিন্দু—মুসলিম দাঙ্গা লাগিয়ে ফায়দা হাসিল করতে। সরকারকে বলতে চাই জাতি সাপ কখনো ঘরে পালন করতে হয় না।

যদি জাতি সাপকে ঘরে পালন করা হয় তাহলে ওই সাপ তার মনিবকে আগে ছোবল মারে। আপনারা চার মাস ধরে ক্ষমতায় আছেন অথচ এখনো পর্যন্ত আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতারা দিব্যি আরামে ঘুরে বেড়াচ্ছে আর দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আপনারা আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কোনরকম কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। তারা এখন কখনো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর ভর করে, কখনো ছাত্র কখনো, শ্রমিক সেজে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। ভারত ও আওয়ামী লীগ ইসকনের পৃষ্ঠপোষক। যদি ইসকনকে দ্রুত নিষিদ্ধ না করেন তাহলে ছাত্র জনতা আপনাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড়ালে দ্রুত আপনারা ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হবেন। আপনাদেরকে বলি দ্রুত ইসকন নিষিদ্ধের ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তা না হলে আপনাদের বিরুদ্ধে দ্রুত গণ আন্দোলন শুরু হবে।

মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি মুভমেন্ট ফর প্যালেস্টাইন বাংলাদেশের আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ খান, বাংলাদেশ জনজোটের আহ্বায়ক মুজাম্মেল মিয়াজী, ইসলামিক টিভির এমডি কর্ণেল (অবঃ) ফরিদুল আকবর, ৯০’র গণআন্দোলনের অন্যতম নেতা ও জাগপা’র প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান আসাদ, দেশপ্রেমিক নাগরিক পার্টির চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ শামীম, বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টির চেয়ারম্যান মোফাচ্ছের অধ্যাপক বাজলুর রহমান আমিনী, বাংলাদেশ নেজামে ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা ওবায়দুল হক, ইসলামী সমাজতান্ত্রিক দলের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টির চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মজুমদার, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শরীফুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা আবু তৈয়ব হাবিলদার, গণঅধিকার পরিষদের সহ—সভাপতি আব্দুর রহমান, বাংলাদেশ জনজোটের সদস্য সচিব সুরাইয়া ইয়াসমিন, সদস্য মোহাইমিনুল হক সুবাস প্রমুখ।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন