ডার্ক মোড
Saturday, 31 May 2025
ePaper   
Logo
যুক্তরাষ্ট্রের স্টুডেন্ট ভিসার সাক্ষাৎকারের নতুন সময়সূচি স্থগিত

যুক্তরাষ্ট্রের স্টুডেন্ট ভিসার সাক্ষাৎকারের নতুন সময়সূচি স্থগিত

বিশ্ব সংবাদদাতা

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নজরদারি বাড়াতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের নতুন ভিসা সাক্ষাৎকারের সময়সূচি স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ইতোমধ্যে যাদের সাক্ষাৎকারের সময়সূচি দেওয়া হয়েছে তারা এই সিদ্ধান্তের আওতায় থাকবেন না।

মঙ্গলবার (২৭ মে) নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই তথ্য জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা। 

তিনি জানান, এই স্থগিতাদেশ অস্থায়ী এবং যাদের সাক্ষাৎকারের সময়সূচি এরইমধ্যে নির্ধারিত রয়েছে, তাদের জন্য প্রযোজ্য নয়।

এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওয়ের সই করা এক তারবার্তার বরাত দিয়ে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব বিদেশি শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে যাবেন, তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কার্যক্রম যাচাই ও তদারকি করার জন্য নতুন নির্দেশিকা দেওয়া হবে। নতুন নির্দেশিকা জারি না হওয়া পর্যন্ত দূতাবাসগুলোকে নতুন শিক্ষার্থী বা পর্যটক বিনিময় কর্মসূচির ভিসা সাক্ষাৎকারের সময়সূচি নির্ধারণ না করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ সম্পর্কে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, ‘শিক্ষার্থী হোক বা অন্য কেউ, আমরা ভিসা আবেদনকারীদের যাচাই করার জন্য সব ধরনের কৌশল ব্যবহার করি। আমরা প্রতিটি কৌশল অবলম্বন করে দেখার চেষ্টা করব যে এখানে কে আসছেন।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদেও সব ভিসা আবেদনকারীর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের তথ্য খতিয়ে দেখা শুরু করেছিলেন ট্রাম্প। এমনকি সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সময়েও এই নীতি বহাল ছিল।

এ পদক্ষেপকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর নজরদারির সাম্প্রতিক উদাহরণ বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞদের অনেকে।

এর আগে, গত ২২ মে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি করার সুযোগ বাতিল করে ট্রাম্প প্রশাসন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা করলে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তিতে ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করে দেশটির আদালত ।

এ ছাড়াও, দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর যুক্তরাষ্ট্রে থাকা হাজার হাজার বিদেশি শিক্ষার্থীর আইনগত অবস্থাও বাতিল করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সে সময় ভয়ের কারণে অনেক শিক্ষার্থীই যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে চলে যান।

পরবর্তীতে এই প্রচেষ্টা আদালতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে এবং এতে অনেক শিক্ষার্থীর বৈধতা পুনর্স্থাপিত হয়। এ ছাড়া, প্রশাসন যেন আর এভাবে বৈধতা বাতিল করতে না পারে সেজন্য সারা দেশের জন্য একটি নিষেধাজ্ঞাও জারি করে আদালত।

এদিকে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এই সাক্ষাৎকার সময়সূচির স্থগিতাদেশ দীর্ঘমেয়াদি হলে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রীষ্ম ও শরৎকালীন কোর্সে শিক্ষার্থীদের ভর্তি হওয়ার পরিকল্পনা ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তাছাড়া, বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বাজেট ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে। কারণ ট্রাম্প প্রশাসন ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণা খাতে তহবিল কাঁটছাট করেছেন। এ কারণে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করে টিউশন ফি বাড়ানোর চেষ্টা করেছিল।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন